যেখানে হাসপাতাল অতি জরুরী সেখানে না দিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল স্ব-বিরোধী সিদ্ধান্ত
”একটি নাগরিক মতামত”
যেখানে হাসপাতাল অতি জরুরী সেখানে না দিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল স্ব-বিরোধী সিদ্ধান্ত
মোঃ বাবুল হোসেন বাবলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক-সংগঠক, চট্টগ্রাম। সম্প্রতি সময়ে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতাল নির্মাণ কে কেন্দ্র করে গোটা চট্টলায় সর্ব মহল ক্ষেপে উঠেছে। আর দিন দিন এর তিক্ততা–বিষে বিষন্নতা ছড়িয়ে পড়ছে দেশব্যাপী। সরকার মনে করছে ঐ স্থানে আরো একটি হাসপাতাল হলে চট্টগ্রামের চাহিদা পূরণে ওস্বাস্থ্য সেবার দিকে জনগণ সুযোগ পাবেন। কিন্তু চরম সত্য এই যে, সিআরবিতে রেলওয়ের সু-সজ্জিত বক্ষ-ব্যথি হাসপাতাল রয়েছে। এর পাশে আরো প্রচুর খোলা জায়গাও রয়েছে। সবাই বলছে একে আরো আধুনিক সুযোগ, সুবিধা এবং লোকবল দিয়ে পরিপাটি করে সাজালে প্রাণ ফিরে পেত সেবাই। এই পর্যন্ত প্রায় সব সংগঠন একটি কথাই বার বার বলেছেন সিআরবিতে হাসপাতাল না করে অন্যত্র রেলওয়ের জমিতে ভালো মানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে। কেন জানি, ঐস্থানে বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার হাসপাতাল করতে চাচ্ছে কিনা। আমরা দেখেছি ডিসি হিল আর সিআরবিতে বৈশাখী উৎসব, মেলা–পার্বণ আর বড় বড় সংগঠন গুলোর সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ড এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সকালে শতশত জনগণ প্রাত-ভ্রমন সহ ব্যায়াম করে প্রাকৃতিক নিঃশ্বাস নিয়ে প্রকৃতিকে আপন আলয় পাওয়ার আকুলতা দেখায়।
সেখানে সেবার নামে কিংবা চিকিৎসার নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান স্থাপন অত্যন্ত স্ব প্রণতিদ্য স্ব বিরোধী এবং এক গেয়ামী সিদ্ধান্ত। প্রকৃত বেশ কিছু দিন ধরে বন্দর-ইপিজেড ওপতেঙ্গা এলাকায় একটি হাসপাতাল করার জন্য সরকারের উচ্চ মহল কে বারংবার দরখাস্ত দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। আর যেখানে কোন আবদার-অনুরোধ ও চাওয়া-পাওয়া কিংবা দাবি নাই সেখানেই বসাতে চাচ্ছেন সরকার হাসপাতাল। আমি ও আমরা সবাই হাসপাতাল চাই, তবে প্রকৃত-পরিবেশ, সবুজ-বৃক্ষছাঁয়া ধ্বংস করে কেউ সেবার ঘর চাই বলে পৃথিবীতে নজির আছে বলে জানা নেই। এই হঠকারী-স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে বন্দর-ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকার পতিত জায়গায় একটি অতি জরুরী হাসপাতাল নির্মাণ করতে উচ্চ মহলের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি। মোঃ বাবুল হোসেন বাবলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক-সংগঠক, চট্টগ্রাম।