ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনাশ করে সিআরবিতে হাসপাতাল চাই না
ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনাশ করে সিআরবিতে হাসপাতাল চাই না
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার, পরিবেশ বিদ ও সংগঠক অধ্যাপক মোঃ ইদ্রিস আলম বলেছেন, চেতনা বিরোধী-ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দয্য বিনাশ করে বীর চট্টলার কোন মানুষ এই ঐতিহাসিক সিআরবিতে হাসপাতাল হোক তা চাই না । তিনি আরো বলেন, চেতনার কোন বয়স নেই, চেতনা মরতে পারে না, চেতনা যুগ যুগ ধরে জীবিত থাকে, তেমনি সিআরবিতে চট্টলার হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দয্য চির অমর হয়ে ইতিহাসের কাল সাক্ষি হয়ে দিব্যমান। তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংবিধান নেই-পরিবেশ দপ্তর, সিডিএ-চসিক ও উন্নয়ন সংস্থা নেই। তার পরেও কেন সরকার রেলওয়ে জায়গায় এই হঠকারী চেতনা বিরোধী কাজ করছেন তা চট্টলাবাসী যানতে চাই। কোন সুবিধা ভোগির, মুনাফা ঘোরী সিদ্ধান্তে আমরা কেন বলিরপাঠা হতে যাব। তিনি ২২শে আগস্ট, রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-এডাব আয়োজিত সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধকরার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশে আলোচক অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
এডাবের চেয়ারপারসন ও ইলমার নির্বাহী প্রধান-নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারুর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী পরিচালক উৎপল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সংহতি সমবেশে আরো সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ক্যাবের কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম ক্যাবের প্রধান নির্বাহী এম.এ নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট প্রাবন্দিক, সংগঠক-এনজিও কর্মকর্তা মোস্তফা কামালা যাত্রা, ইপসার প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, স্বপ্নিল ব্রাইট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ আলী সিকদার, দৃষ্টির পচিালক হেলাল উদ্দিন মাহাবুব, বনফুলের পরিচালক-রেজিয়া বেগম, ক্যাবের জেলা প্রতিনিধি কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, আইডিএ্ফর-সুর্দশন বড়ুয়া, ব্রাইট ফোরামের নাসরিন সুলতানা খানম, আইডিএস’র মনজুর আহম্মেদ, উপকূলের যোবাইর মোঃ ফারুখ, সিএসডিআইর জানে আলম, অপারাজয় বাংলার জিন্নাত আরা বেগম, প্রত্যয়ের নাজমুল হাসান, মমতার রুহুল মুহিদ চৌধুরী, বিকেএসএফর জান্নাত ফেরদৌস, মনিষার হিরু আলম সহ আরো কয়েক মানবিক সংগঠন সংহতি সমাবেশে ঐক্য পোষন করেন।
এসময় সংগঠক মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারী চাকুরীজীবা রেলকর্মচারী ও তাদের পরিবারের কাছে জানতে চাই, আপনারা সামন্য স্বার্থের কাছে চুপ থেকে চট্টলাবাসীর সাথে চরম অন্যায় করছেন।আপনাদের পাশে বিশাল হাসপাতাল থাকার পরও কেন আপনারা একই স্থানে মেডিকেল নামে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদ করছেন না? একদিন আপনারা ও ভুগবেন। ক্যাবের এম.এ নাজের হোসাইন বলেন, ঐতিহাসিক সিআরবিতে হাসপাতাল হোক তা চাই না ৯৯% মানুষ, সেখানে কাদের ১% স্বার্থ্য উদ্ধারে প্রশাসন বিশাল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন আমাদের জানা উচিত। চট্টগ্রামের অনেক শিল্প-শ্রমজীবীর এলাকায় হাসপাতালের জন্য হাহাকার সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ অতি জরুরী। এই হঠকারী ব্যবসায়ী চুক্তি বাতিল করে চট্টলাবাসীর ফুসফুস খ্যাত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডলী সিআরবিতে মেডিকেল প্রকল্প বাতিল না হলে বীর চট্টলাবাসী ফুসে উঠবেই।
চট্টগ্রামের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-এডাব আয়োজিত এই সংহতি সমাবেশে আরো যারা স্বক্রিয় অংশ নেন তারা হচ্ছেন- ইলমা, উপকূল সংস্থা, প্রত্যয়, সেইফ সিআরবি সংগঠন, দৃষ্টি, স্বপ্নিল ব্রাইট ফাউন্ডেশন, ইপসা, অগ্রযাত্রা, মমতা, আইডি এফ, বনফুল, পল্লি ফাউন্ডেশন, এডিডিএস, মনিষা, বিকেএসএফ, ব্রাইট ফোরাম এবং মানবিক সংগঠন আলোর পথে-চট্টগ্রাম।