পটিয়া উপজেলার গুয়াতলীতে মোবাইল চুরির কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ তিন
পটিয়া উপজেলার গুয়াতলীতে মোবাইল চুরির কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ তিন
পটিয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
পটিয়ায় মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৫ জন।গুলিবিদ্ধরা হলেন- রাশেদ আলম (৪৪), মোরশেদ আলম (৩৫), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫)। তবে আরো অনেকে আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান, আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বুধবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টায় উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের গুয়াতলী গ্রামের দানুমিয়া মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে মোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিবাদীরা হলেন, উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের গুয়াতলী গ্রামের আহমদুল হকের ছেলে সিরাজুল হক (৩৫), ভাটিখাইন গ্রামের মোহাম্মদ রায়হান (২৮), পৌরসদরের সামশুল আলম মাস্টারের ছেলে মাইনুল ইসলামসহ (২৮) অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
পটিয়া থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট ছনহরা এলাকার বাদী মোরশেদ আলমের ভগ্নিপতি সাইফুল হকের একটি মোবাইল সিরাজুল হক চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে বৈঠক করেও মোবাইলটি ফেরত দেয়নি। এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গুয়াতলী এলাকার দানুমিয়া মার্কেট এলাকায় মোরশেদ আলমকে পেয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় তার চিৎকার শুনে তার চাচা রাশেদ আলম প্রতিবেশী আবদুল্লাহসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদেরকে পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, এ ঘটনায় গুয়াতলী গ্রামের মোরশেদ আলম বাদী হয়ে ৩জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তীব্র আতংক ওচাপা ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছে, পরিস্থিতি থম থমে বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন।