চসিক ও বন্দর ইপিআই জোনের কভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম পূর্ণদ্যমে এগিয়ে চলেছে
হোসেন বাবলা, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনাভাইরাস”থেকে পরিত্রান দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইপিআই জোন বন্দর কর্তৃক বন্দর-ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকার জনগণ কে বিনামূল্যে প্রয়োজন অনুসারে কভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম পূর্ণদ্যমে এগিয়ে চলেছে।জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ হাসান মুরাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ও টিকা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজ্বী জিয়াউল হক সুমনের দিক নির্দেশনায় বসবাসরত নিবন্ধন কৃত সকল কে শৃংখলার সহিত টিকা প্রদান করা হচ্ছে বলে বন্দর ইপিআই জোনের টিকা টেকনেশিয়ান মোঃ নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এসএমএস পাওয়া এবং সারিবদ্ধভাবে টিকা কেন্দ্রে আসা সবাই কে প্রথম ডোজ, পরে ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে ২য় ডোজ সম্পন্ন করছি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে। প্রতিদিন ২ডোজ মিলে গড়ে ৫’শ থেকে ৬ শত লোক কে শৃংখলার সহিত টিকা প্রয়োগ করছি। এক্ষেত্রে আগত সকল বাসিন্দাদের সার্বিক সহায়তা কামনা করছেন টিকা বাস্তবায়ন কমিটি। কমিটির সমন্বয়কারী চন্দ্রাশীষ ভট্টাচায্য আশিষ ও শৃংখলা উপ-কমিটির সদস্য আনোয়ারুল করিম রুশদী, সদস্য জসিম উদ্দিন, মাসুদ সৌমিক, মোঃ সায়েম সহ স্বেচ্ছাসবকরা নিরালস কাজ করে বন্দর জোনের সুনাম বজায় রাখতে স্বচেষ্ট রয়েছেন।

সরজমিনে ৩১ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরটিলা মাতৃসদনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। দক্ষ টিকা প্রয়োগকারী বা ভ্যাকসিনেটরা টিকা গ্রহিতাদের বসিয়ে সু-শৃংখলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করছেন। এতে আগত টিকা গ্রহিতারা সন্তোষ্ঠি প্রকাশ করেন। এবিষয়ে জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ হাসান মুরাদ চৌধুরী মুঠো ফোনে প্রতিবেদক কে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস”থেকে পরিত্রান পেতে চাইলে বা প্রতিরোধক পাওয়ার এক মাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভ্যাকসিনেটর হওয়া ও মাস্ক পরা-ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। তিনি আরো বলেন, বন্দরজোনের টিকা কার্যক্রমে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ ও টিকা বাস্তবায়ন কমিটি এবং স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গন সার্বিক সহায়তা করে যাচ্ছেন। সু-স্বাস্থ্য, করোনা মুক্ত রাখতে বর্তমানে টিকাগ্রহণ জরুরী বলে এই অভিজ্ঞ জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ হাসান মুরাদ জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ