তারা খসা ভোর
প্রদীপ দত্ত
কখনও কখনও হঠাৎ একটি
তারা খসে পড়ে ভোর রাতে-
সাত মাসের বাচচা পেটে নিয়ে
মারা গেল লীলাবতী।
কুমার নদীতে লাশের স্রোত
ভুল দর্শনে আত্মঘাতি হওয়ার ভুল;
পেট্রোল বোমায় পুড়ে যাওয়া
শরীর বয়ে বেড়ানোর কষ্ট।
অথবা ভালবেসে যে নিজের-
শরীরে আগুন দিয়ে অনেক দিন
বার্ন ইউনীটে বেঁচে ছিল।
মাংস পোড়া বিভৎস গন্ধ নিয়ে।
কেউ কেউ জীবন্ত লাশ হয়ে
বেঁচে থাকে
মরা মানুষের গন্ধ নিয়ে।
কাব্যের বাজারের ফেরিওয়ালা হাক ছাড়ে
কাব্য আছে কাব্য,
তারপর,একদিন বর্ষা রাতে
দেশ ছাড়ে নিশি কাকা সমত্ত মেয়ে নিয়ে;
গোপনে।
চলে যায় বারাসাতের স্টেশন বস্তিতে
যেখানে মাতালেরা হুল্লোড় করে-
রাতভর,
নিরাপত্তার ভীতিনিয়ে সীমানা পার হয়
একটি কালো কাক।
দেশ,ভাষা ভাগাভাগির ছকে
সবই এখন শত্রু সম্পত্তি;
আইনের প্যাচে বে-আইনই
আইন।
মুখেমুখে গনতন্ত্রের বুলি ল্যান্ডক্রুজারে
দেশ এখন মধ্যম আয়ের!
চিন্তাভাবনায় প্রাগঐতিহাসিক।
হঠাৎ ঘুম ভাঙে তারা খসার শব্দে
আবার একটি নক্ষত্র পতন!
কালো রাতের অপেক্ষায় হায়েনারা
ঘুম ভেঙে কেঁদে ওঠে সদ্যজাত শিশু
তারপর,মায়ের স্তন মুখো নিয়ে চুপচাপ।
তখন সব কিছু শুনশান হয়ে আসে
পৃথিবীতে নামে শ্মশানের নিঃস্তব্ধতা।
দৈনিক নব দেশ বার্তা / কবিতা 

নিউজটি শেয়ার করুনঃ