ইছামতী নদীতে নৌকা বাইচ খেলা দেখতে মানুষের ভীড়
ইছামতী নদীতে নৌকা বাইচ খেলা দেখতে মানুষের ভীড়
বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
নৌকা বাইচ কে ঘিরে গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘী ইউনিয়নের তরনীহাটে ইছামতী নদীতে ক্রীড়ামোদী মানুষ। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করে। দুুপুর গড়তে না গড়তেই প্রায় ২৫ হাজার নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু- কিশোরে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তরনীর হাট ব্রীজের দু’পাড়। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরনী হাটে ইছামতী নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করলেন প্রায় ২৫ হাজার ক্রীড়ামোদী মানুষ।আশপাশের বাড়ির ছাদ, গাছের ডালে, ব্রিজের রেলিং এ উঠে হাজার হাজার মানুষ উপভোগ করে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম অনুসঙ্গ নৌকা বাইচ। নৌকা বাইচে গাবতলী, শাজাহানপুর, ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার ১৬টি নৌকা অংশ নেয়। সকাল ১০টা থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। বাইচে অংশ নেয়া নৌকা গুলো তরনী হাট ব্রিজের উত্তর থেকে যাত্রা শুরু করে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে বাইচ সমাপ্ত করে।
আয়োজক কমিটির নিয়োগপ্রাপ্ত রেফারীগণ বাইচ পরিচালনা করেন। নৌকা বাইচ কে ঘিরে দু’পাড়ে বসেছিল হরেক রকমের খেলনা ও খাবারের দোকান। এসবে মেতে ওঠে কোমল মতি শিশুরা। বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ জাকির নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মি ও স্থানীয় জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্দ্যোগে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচ।প্রতিযোগিতা শেষে সবুজ মেডিকেল হলের সত্বাধিকারী মনছুর কাওছার সবুজের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। ১ম পুরস্কার একটি ষাঁড় গরু এবং ২য় পুরস্কার ১টি বকনা গরু দেয়া হয়। শুধু শাজাহানপুর, গাবতলী, ধুনট, সারিয়াকান্দির মানুষই নয়, বগুড়া শহর থেকেও অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন নৌকা বাইচের উৎসবে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলম ঝুনু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফী হিরো, গাবতলী উপজেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস ছালাম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু, বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুছ আলী ফকির, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।