ফটো সাংবাদিক আদর রহমানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে কর্মরত ফটো সাংবাদিক গোলজার রহমান আদরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে মানববন্ধন ও পথসভা করা হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিক সরকারের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি কালের কণ্ঠ’র রংপুর অফিস প্রধান স্বপন চৌধুরী, রিপোর্টারর্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজিদ আহমেদ, বাংলাদেশ তৃণমুল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি মামুন উর রশিদ, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট এসেসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আফতাবুজ্জামান হিরু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন রিফাত, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি ইরা হক, রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার, বাসদ নেতা পলাশ কান্তি নাগ ও কালের কণ্ঠ’র আঞ্চলিক প্রতিনিধি সীমান্ত সাথী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালিন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়কালে আদর রহমান মেয়রের ক্যামেরাপার্সন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সিটি করপোরেশনের তৎকালিন প্রধান প্রকৌশলী আকতার হোসেন আজাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদক) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় আদর রহমান ছিলেন ঘটনার সাক্ষী। ঘটনায় মুল নায়ক দুই প্রকৌশলীকে করা হয় আসামী। পরে প্রভাবশালী ওই চক্রকে রেহাই দিতে সাক্ষী থেকে আদর রহমানকে আসামী করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম আদালতে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আদর রহমানকে। বর্তমানে বহাল তবিয়তে রসিকে কর্মরত আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ পরে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। বর্তমানে তিনিও দুদকের তদন্ত শাখার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। পথ সভায় রফিক সরকার বলেন, ‘ঠিকাদারী কাজের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ক্যামেরাপার্সন গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমানের নির্বাহী ও প্রশাসনিক কোন ক্ষমতা ছিল না। অথচ তাকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে সাক্ষী থেকে আসামী করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রংপুরের সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আদরকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি বাংলাদেশে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাক্ষী থেকে আসামী করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নেওয়ার অনুরোধ জানান সাংবাদিকবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ