নৌ পুলিশের নির্যাতনে জেলের মৃত্যু পাঁচ পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী গ্রামে মো.সুজন হাওলাদার নামে (৩০) বছর বয়সী এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে এব্যাপারে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট ঢোস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে ওই এলাকায় শতাধিক জেলেরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। নিহত সুজন হাওলাদরের বাড়ী উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের চর বালিয়াতলী গ্রামে। সে ওই গ্রামের সত্তার হাওলাদরের ছেলে। বিষয়টি জানতে কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.শওকত জাহান কে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি বলেন’ আমি ঝামেলায় মধ্যে রয়েছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন তথ্য দেয়া যাবে না। তবে বিকেল ৪ টার দিকে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে ওই এলাকায় জেলে ও সাধারন মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২ টা সময়, ছোট ঢোস এলাকার নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতির নেয়ার সময় পুলিশ আশে এবং সুজনকে মারধর করে একপর্যায়ে জেলে সুজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় অন্য জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে বাবলাতলা বাজার এলাকায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত জেলে ও স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা ওই পুলিশ উপ-পরিদর্শক মামুন সহ চার পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে জেলে আবুল হোসেন, বেল্লাল, আবু সুফিয়ান জানান, ওই নদীতে মাছ শিকার করতে পুলিশকে মাসোয়ারা দিতে হয়। মাসোয়ারা না দেয়ায় সুজনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। স্থানীয় জেলেরা লালুয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক মামুনকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। অভিযুক্তপুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. মামুন জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত জেলে সুজন হাওলাদারকে জালের উপর শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখেছেন। কোন পুলিশ সদস্য তাকে মারধর করেনি। এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত মো. আসাদুর রহমান জানান, লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এব্যাপারে কিছুই বলা যাবেনা না।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ