সুবর্ণচরে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত-৫
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করায় ৫ যুবককে পিটিয়ে আহত করেছ প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা হলো, উপজেলার চরমজিদ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো.রাসেল (২৮), একই গ্রামের জাবের হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), শাহ আলমের ছেলে নুরনবী (৩০), খুরশিদ আলমের ছেলে মনির (২৫) ও শাহাব উদ্দিনের ছেলে রুবেল (২৪)। বুধবার (২২সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের ভূঁঞার হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা অভিযোগ করে বলেন, “বিকেল ৩ টায় ভূঁঞার হাট বাজারে তারা সকলে সেলুন দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মৃত হাজি মোশারেফ হোসেনের পুত্র মোজাম্মেল হোসেন এর ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন (৩০) এর নেতৃত্বে আজিজুর রাহমানের পুত্র বোরহান উদ্দিন (৩৮), নিজাম(৩০), জিহাদ (২৮), মধ্য চরবাটা গ্রামের সামছুল হকের পুত্র ফখরুল (৩৮), ফজলুল হকের ছেলে পিচ্চি সুমন (২৮), চরমজিদ গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র খলিল(৩৫) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের একদল যুবক তাদেরদেরকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পিটিয়ে আহত করে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অভিযুক্ত দেলোয়ারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে বলেন “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না পরিবর্ততে শুনেছি মামুন নামের এক যুবকের সাথে তাদের মারামারি হয়। মামুনও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে, তারা আমাকে ফাঁসাতে আমার নাম বলেছে”। অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন মুঠো ফোনে বলেন, “আমি শুনেছি তবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, আমি আমার বাড়িতে ছিলাম, ভোটে হারজিত আছে, আমরা মারামারি করিনি, তারা এসব মিথ্যা বলছে”। চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন “ঘটনাটি আমি শুনেছি কিন্তু এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ