পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী ছিলেন মার্গীয় সঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব
হোসেন মিন্টুঃ
আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত দেশবরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ পন্ডিত বিজন চৌধুরীর ৮২ তম জন্ম দিন ও ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান ফুলকি চট্টগ্রাম এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান প্রধান তিথির বক্তব্য রাখেন লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর কবি হোসাইন কবির তিনি বলেন, পন্ডিত বিজন চৌধুরী মার্গীয় সঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অনন্য ও অন্যতম। পন্ডিতজী দেশ বিদেশর বহু পন্ডিত ও গুনী শিল্পীদের সাথে তবলা সঙ্গত করেছেন। প্রজ্ঞাবান বহুশিল্পীদের মধ্যে নিজেকে একজন তবলাশিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবেন। দেশে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী তৈরী করে গেছেন।
স্মৃতিচারন ও সভায় উচ্চাঙ্গসংগীত অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবতী। তিনি বলেন, পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী ছিলেন লয়কারী, লয়ের প্রতি প্রখরতার জন্যই শিল্পীরা উনার সাথে গাইতে স্বাছন্দ্যবোধ করতেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. মো. রেয়াজুল হক বিভাগীয় পরিচালক প্রাণীসম্পদ দপ্তর। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পন্ডিত বিজন চৌধুরী ছিলেন শিল্পী তৈরীর কারীগর। তাঁর কাছে শেখা বহু ছাত্র তবলা শিল্পী আজ দেশে প্রতিষ্ঠিত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সাধারণত সম্পাদক তাঁরই শীর্ষ শিল্পী সুরজিৎ সেন। তিনি বলেন আমার গুরজির ধা, না, বাণী এতো সুমিষ্ঠ যা অন্য কারো হাতে দেখিনি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড. অনিমেষ চক্রবর্তী, শিল্পী রাজীব দাশ, শিল্পী দিপেন চৌধুরী।এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন অনুষ্ঠান সচিব রাজুদাশ গুপ্ত টিটু, আহবায়ক আলমগীর আলম, সভাপতি বিশুতোষ তালুকদার। এরপর দ্বিতীয়পর্বে শুরু হয় উচ্চাঙ্গসংগীত। আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির ২৫জন ছাত্র-ছাত্রী’র অংশগ্রহণে ত্রিতালের তবলা লহড়া পরিবেশিত হয়। পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী ও শিক্ষক সুরজিৎ সেন। অনুষ্ঠানে ঝাঁপতালের উপর একক তবলা লহড়া পরিবেশন করেন শিল্পী সুদেব কুমার দাশ। ঝিঝিট রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী রিটন কুমার ধর। সর্বশেষ শিল্পী রণধীর দাশ শুককল্যান রাগের উপর বাঁশি পরিবেশন করেন তাকে তবলা সঙ্গত করেন শিল্পী প্রনব ভট্টাচার্য, তানপুরায় সম্পদ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তূর্ণা বড়ুয়া। সকলে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এরকম একটা অনুষ্ঠান উপহার দেবার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ