বেসরকারি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে চলছে অর্থ বাণিজ্য
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতিনিয়ত চলছে টেস্ট বাণিজ্য। লাগামহীন টেস্ট বাণিজ্যের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর-দূরান্ত থেকে আসা অসহায় অসংখ্য রোগী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিশনের লোভে বেশকিছু কথিত চিকিৎসক টেস্ট বাণিজ্যে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া যশোর-খুলনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কথা বলে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভিজিটের অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানা যায়৷ তেমনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্নে অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিক লাইফ কেয়ারে” টেস্ট বাণিজ্যের লাগাম টানা হচ্ছে না। মান, পরিবেশ ও খরচের দোহাই দিয়ে এই ক্লিনিকের মালিক পক্ষ কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে বোঝাঁপড়া করে মনগড়া টেস্টের মূল্য আদায় করছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। তেমনি ওই ক্লিনিকের একজন চিকিৎসক ফয়সাল আবেদীন রোগী দেখা ফি-বাবদ নেয় ৫০০ টাকা৷

হাত নাড়াচাড়া করে ধরিয়ে দেন পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থাপত্র ৷ তাতেও শেষ হয়নি অর্থ বাণিজ্য।সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেও পরবর্তীতে ফি নেন ৪০০ টাকা। অভয়নগরে বেশির ভাগ বেসরকারি ক্লিনিকে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা থাকলে ও শুধু নামে মাত্র কামে নয়। গোপন সূত্রে জানা যায়, একটি কমিশন বাণিজ্যের প্রভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়। কমিশন প্রদান করে অতিরিক্ত মুনাফা নিশ্চিত করতেই বিভিন্ন পরীক্ষার চার্জ প্রকৃত খরচের চেয়ে অনেক গুণ বেশি নেওয়া হয়। কমিশনের লোভে কিছু লোভী চিকিৎসকও কারনে-অকারনে গাদা গাদা টেস্ট দেন। এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন আবু শাহিন বলেন, ইতিমধ্যে এসব অনিয়মের ব্যাপারে অবগত হয়েছি, দ্রত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ