আইপিএল জুয়ায় মেতেছে মাঝিহট্ট ও পীরব প্রত্যন্ত অঞ্চলে
আইপিএল জুয়ায় মেতেছে মাঝিহট্ট ও পীরব প্রত্যন্ত অঞ্চলে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ও পীরব প্রত্যন্ত অঞ্চলে মূলত, এ সময়টাতেই যে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হওয়ার সুযোগটি আসে তাদের সামনে।কথা হচ্ছে, জুয়াড়িদের নিয়ে। সময় পাল্টেছে, যুগ বদলেছে- বদলেছে তাদের জুয়া খেলার ধরন। একটা সময় থ্রি কার্ড, ফ্লাশ, হাউজি ইত্যাদি খেলায় বা ক্যাসিনো অথবা অন্যান্য লোকাল খেলায় মানুষ বাজি ধরলেও এখন তা লাগাচ্ছে ক্রিকেটের প্রতিটি বলে। যুগ যেমন ডিজিটাল, তেমনি ডিজিটালাইজেশন হয়েছে জুয়া খেলার ধরনেও। এখন চলছে ‘ডিজিটাল জুয়া’মুঠোফোন -টেলিভিশন-ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই যে কেউ আপডেট রাখতে পারছে যেকোনো ম্যাচের। কোনো ক্রিকেট ম্যাচ মানেই পাড়া- মহল্লায় দোকানের সামনে ভিড়।
সেই ভিড় যত না ক্রিকেট উৎসুকদের, তার চেয়ে বেশি জুয়াড়িদের। প্রতিটি বলে ধরা হয় বাজি। এতে এক পক্ষ হয়তো অল্প সময়েই বিশাল অঙ্কের অর্থ পকেটে পুরছে, তবে আরেক পক্ষ হচ্ছে নিঃশেষ। এবারের আইপিএল শুরুর পর সরেজমিন তদন্ত করে দেখা গেছে, মহামারী করোনার মাঝেও যেন প্রাণের ভয় নেই জুয়াড়িদের মনে। জটলা হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্টে। যেখানে টেলিভিশন, সেখানেই মানুষ। সেটা টেলিভিশনের শো-রুম হোক, হোক চায়ের দোকান কিংবা সেলুন। সবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মুঠোফোন (মোবাইল) ও টেলিভিশনে। দুই বছর আগ পর্যন্ত ম্যাচ প্রতি বাজি ধরলেও, এখন জুয়াড়িরা এমন বেপরোয়া যে-বল বাই বল বাজি লাগাচ্ছে। হাতে হাতে যেমন জুয়া খেলা হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে অনলাইনেও। ‘বেট ৩৬৫ লাইভ’ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত একটি বেটিং সাইট। এর একটি অ্যাপসও আছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও, এই প্রতিবেদক অন্তত ৫০ জনের মুঠোফোনে দেখতে পেয়েছেন অ্যাপসটি ইন্সটল করা। বলা বাহুল্য, সেখানে প্রায় সবাই খেলা দেখছিল বাজি লাগাতে। জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন তরুণ জানান, ভিপিএন-প্রক্সি অথবা ডেভেলপারদের সাহায্য নিয়ে তারা অবৈধ অ্যাপসটি মুঠোফোনে ইন্সটল করে জুয়া খেলছেন।