এসআই আনোয়ার হোসেন সংগ্রাম নিখোঁজের ১ মাস অতিবাহিত কান্নার আহাজারি পরিবারের
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
গত (২৬-আগস্ট-২০২১) আনুমানিক বিকেল ৫ টার সময় বরিশাল সিটি করপোরেশন ১৩ নং ওয়ার্ড, জমিরখান সড়ক আমতলার মোড় ভাড়া বাসা হতে এসআই আনোয়ার হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আইনের সহযোগিতা পেতে নিখোঁজের স্ত্রী নাজমা সুলতানা (৩৫), বাদী হয়ে গত (১২/০৯/২১) কোতোয়ালি মডেল থানা (বিএমপি) বরিশাল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন যাহার ডায়েরি নং- ৬৫৯/২১ ইং।

সাধারন ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, নিখোঁজের স্ত্রী নাজমা সুলতানা দুই সন্তান নিয়ে বরিশালের আমতলা মোড়, জমিরখান সড়ক ১৩ নং ওয়ার্ডে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিখোঁজ এসআই আনোয়ার হোসেন চাকরি জনিত কারনে কুমিল্লা বদলি হয়েছেন ছুটিতে বরিশাল ভাড়া বাসায় স্ত্রী নাজমা সুলতানা ও দুই সন্তানের কাছে আসেন। গত (২৬/০৮/২০২১) বিকেল ৪ টার সময় স্বামীকে বাসায় রেখে ছেলেকে নিয়ে কোচিং এ যান নাজমা সুলতানা।সেখান থেকে বাসায় ফিরে স্বামীঃ এসআই আনোয়ার হোসেন সংগ্রামকে বাসায় না দেখতে পেয়ে কিছুক্ষন পড়ে আশেপাশে খোজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং নিকটতম আত্মীয় স্বজনের কাছে খোঁজ নিয়ে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পড়ে স্ত্রী নাজমা সুলতানা বাদী হয়ে আইনের সহযোগিতা কামনা করে গত (১২-আগস্ট-২১) কোতোয়ালি মডেল-থানা (বিএমপি) বরিশাল, অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি সাধারন ডায়েরি করেন। লিখিত ডায়েরিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিখোঁজের এসআই আনোয়ার হোসেনের উচ্চতা ৫-ফুট-৬” ইঞ্চি, গায়ের রং ফর্সা, তার গায়ে গেঞ্জি ও পড়নে লুঙ্গি ছিলো। এবিষয়ে নিখোঁজ এস,আই আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাজমা সুলতানা প্রতিবেদকে জানান, আমার স্বামী একজন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য করোনাকালীন সময়ে নানান প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে ও জীবন বাজি রেখে নিজের স্ত্রী সন্তানের কথা না ভেবে দেশ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় ডায়েরি করি কিন্তুু প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হতে যাচ্ছে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর কাছে আকুল অনুরোধ যাতে আমার স্বামীকে দ্রুত খুঁজে বের করেন। সরেজমিনে খোঁজ নিতে নিখোঁজ এসআই আনোয়ার হোসেন সংগ্রামের পটুয়াখালী সবুজবাগের বাসায় গেলে তার পরিবারের লোকজন ও স্ত্রী সন্তানরা কান্নার আহাজারিতে ভেঙে পরেন। এসময় প্রতিবেদককে তার পরিবারের লোকজন অশ্রু ভরা চোখে বলেন এসআই আনোয়ার হোসেন সংগ্রাম এদেশের একজন পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন তার নিখোঁজ হওয়ার এতোদিন হয়ে গেলো তবুও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুটি অবুঝ সন্তান তার বাবার জন্য প্রতিদিন কান্নাকাটি করে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অবুঝ সন্তানরা তার পুলিশ বাবাকে খুঁজে পাওয়ার আকুল আবেদন করেন।