নিজের সন্তান আদর করার অপরাধে অভিযুক্ত হলেন পিতা
নিজের সন্তান আদর করার অপরাধে অভিযুক্ত হলেন পিতা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড শিরাজকাটি গ্রামের বাসিন্দা শিরাজুল ইসলামের পুত্র আবুল বাশার (৩৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় শশু অপহরণের অভিযোগ করেছেন তার স্রী যুবকের অপরাধ সে নিজের মেয়ে তাসমীন জাহান(৩) কে কোলে করে তার নিজ বাড়িতে অসুস্থ মাকে দেখাতে নিয়ে যাওয়া, ঐ সময় আরো একটি শোকের সংবাদ আসে অভিযুক্ত যুবকের বড় খালা মারা গিয়েছে তখন অভিযুক্ত যুবক তার স্ত্রীকে মৃত খালার লাশ দেখার জন্য নেওয়ার কথা বললে তখন যুবকের স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সেখানে নেওয়া যাবে না বলে জানাই, এবং বলে যে উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠান চলছে সেখানে থাকবে, যুবক কোন বিতর্ক না করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সহকারী ও অফিসের কয়েকজন কে অবগত করে শিশু সন্তানকে নিয়ে আসলে অভিযুক্তের স্ত্রী পার্শবর্তী মহাকাল গ্রামের, মোঃ সিদ্দিক মোড়লের মেয়ে, আফরোজা খাতুন পিয়া (৩০) নিজ স্বামীর পরিচয় গোপন রেখে উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কে জানায় একজন ব্যাক্তি তার শিশু সন্তান কে অপহরন করে নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টার সময়। সূত্রে জানাযায়, উপজেলা কার্যালয় থেকে অভয়নগর থানাতে টেলিফোন করে জানানো হয়, পরক্ষনেই স্ত্রী থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে্ নিজ সন্তান কে অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী যুবকের সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো লিখিত তথ্যসূত্রে জানাযায়, অভয়নগর থানার ডিউটি অফিসার তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত যুবকের মোবাইলে ফোন করে জানাই যে, আপনার নামে শিশু অপহরণের অভিযোগ হয়েছে আপনি কোথায় আছেন, ঐ সময় অভিযুক্ত যুবক তার পরিচয় দিয়ে বিস্তারিত জানাই মৃত খালার দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চাইলে এস আই উজ্জল বলেন যে এখনি পৌঁছাতে হবে। তখন অভিযুক্ত যুবক ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল কে বিষয়টি অবগত করে মৃত্যুর দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় নেয়, বিকাল ০৪ টার সময় অভিযুক্ত পিতা তার নিজ সন্তানকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে সকল ঘটনা জানায়।
ভুক্তভোগী আরো জানান, গত ২ বছর যাবত আমার স্রী তার বাপের বাড়ির লোকজনের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়া করে তার পিতার বাড়ি চলে যায়, এবিষয়ে আমি বার বার চেষ্টা করেও আমার স্রীকে বাড়িতে আনতে পারিনি, আমার ৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান আছে, আমার স্রী মেয়েটিকেও আমাকে দেখতে দেয়না দেখতে চাইলে অনেক খারাপ ব্যাবহার করে। শর্ত দেয় পিতা মাতা ছেড়ে দিতে হবে, তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আলাদা বাসা ভাড়া থাকতে হবে। এবং শিশু বাচ্চাকে পরিবারের কেউ নিতে আদর করতে পারবে না, বাড়িতে সংসার করবে তাকে আলাদা রেখে ১০ শতক ভিটা জমি লিখে দিতে হবে। এই প্রস্তাব মানতে রাজি না হলে অভিযুক্ত যুবকের অপরাধ, তারি জের ধরে অভিযুক্ত যুবকের উপর আসে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হামলা মামলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী আরো বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা, এস আই ঊজ্জল ভুক্তভোগীকে থানায় ডেকে এনে শিশু সন্তানকে তার স্রীর কাছে ফেরৎ দিয়ে আমাকে মুছলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এবিষয়ে জানার জন্য, ভুক্তভোগীর স্রী আফরোজা খতুন পিয়ার মোবাইল ফোনে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এবিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, একটি অভিযোগ হয়েছিল পরে সমাধানের মাধ্যমে যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।