রিং আইডির ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
রিং আইডির ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায়, রিং আইডির ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১৫ জনকে।শুক্রবার (২অক্টোবর) মামলাটি করেন ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাস। বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে তোফাজ্জেলের চা দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। এসময় মোবাইলের স্ক্রিনে রফিকুল ইসলাম নামে, একজনের রিং আইডি থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপণ দেখতে পান। ওই বিজ্ঞাপণে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০টি বিজ্ঞাপণ দেখলে ৫০০টাকা করে দেয়া হবে। একটা আইডি ক্রয় করতে ১৮হাজার৫০০টাকা করে লাগবে। টাকা জমা দিলে ভার্চুয়াল সদস্যপদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট পাওয়া যাবে। এভাবে তিনি ১৬টি আইডি ক্রয় করেন। প্রতি সপ্তাহে একবার টাকা ওয়ালেট থেকে উত্তোলন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ পর্যন্ত তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হলেও সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। পরে রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন এখন সমস্যা আছে পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এপর্যন্ত কোনও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে থানায় এ মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আইরিন ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আহসান হাবিব, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মনির উদ্দিন শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা শহরের ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সাজিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন। এরা সবাই ঢাকার ধানমন্ডির ৭/এ রোডের সি/৫/এ নম্বর ফ্ল্যাটের ৭৮ নম্বর বাড়িতে রিং আইডির অফিসের কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরি করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম জানান, রিং আইডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাত কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।