কাজী ফার্মস ফাষ্ট ফুডের খাবার ও লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবহেলায় শিশুর করুন মৃত্যুর অভিযোগ
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়ায় কাজী ফার্মস ফাষ্ট ফুডের দোকানের খাবার খেয়ে ও লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর করুন মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায় যে, লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা এলাকার ব্যবসায়ী রাশেদ খন্দকার জুনায়েতের ছেলে ৩৯ নং আরএলপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন (৯), স্কুল ছুটি হলে রোববার(৩অক্টোবর) দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটের সময় থানার সামনে কাজী ফার্মস নামক একটি ফাষ্ট ফুডের দোকানে খাবার খেতে যায়। খাওয়ার এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ-আল-মামুন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং বমি করে। তাৎক্ষণিক দোকানের কর্মচারী মিল্টন দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিপাশা মোশারফ শিশুটিকে সেবা দেওয়ার জন্য ইসিসি করে আনতে বলেন।

তারি পেক্ষাপটে ছেলেটির বাবা জুনায়েদ বলেন, আমার ছেলেটিকে আগে একটু দেখেন ওর দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ওর গলার মধ্যে কিছু একটা দিয়ে আগে গলাটা ক্লিয়ার করেন, এ কথা শুনে ডাক্তার রাগান্বিত হয়ে বলেন, ডাক্তার আমি না আপনি? এমত অবস্থায় আমার ছেলে আমার খুলে মারা যায় দুপুর ১ টার সময়। এ বিষয়ে ছেলেটির দাদী ও বাবা অঝোরে কান্না করতে করতে বলেন, ডাক্তার ও ফাষ্ট ফুডের দোকানের মালিকের বিচার চাই। যাতে করে আমার ছেলের মতো আর কোন প্রাণ না যাই। এ ব্যাপারে কাজী ফার্মসের ফাষ্ট ফুডের দোকান বন্ধ থাকায়, দোকানের সাইনবোর্ডে থাকা নাম্বারে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয় জানার জন্য, লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার বিপাশা মোশারফকে ২-৩ বার কয়েক জন সাংবাদিকরা তাদের মুঠোফোন দিয়ে ডাক্তার বিপাশা কে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে মুঠোফোনে লোহাগড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কছে কেউ অভিযোগ করেনি করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ