উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের গাফিলতিতে ভাতা পাচ্ছেন না ২০০০ সুবিধাভোগী
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের গাফিলতিতে ভাতা পাচ্ছেন না ২০০০ সুবিধাভোগী
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ
চট্রগ্রামে সীতাকুণ্ড উপজেলায় সমাজ সেবা অফিস থেকে বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতার ২০০০ হাজার বই হারিয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সুবিধাভোগী পরিবারগুলো। এর ফলে প্রায় ১ বছর যাবত বিধাবা ও বয়স্ক ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। সমাজ সেবা অফিসের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও সেবা গ্রহণ করতে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত নানা ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।তাছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতাসহ সরকারী উপকার ভোগীদের বই হারানো প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জানা যায় এরকম অন্তত ২০০০ উপকার ভোগীর বই হারিয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজ সেবা অফিস।উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল গ্রামের ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম। গত বছর সরকার সরাসরি উপকারভোগীকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত (জিটুপি) নিলে সবার মত তিনিও বইটি সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে জমা দেন। সমাজ সেবা অফিস তাকে বইটি আর ফেরত দেয়নি। ফলে এক বছর যাবত বিধবা ভাতা থেকে তিনি বঞ্চিত রয়েছেন।
সমাজ সেবা অফিসে গত কয়েকমাস ঘুরেও এর কোন সমাধান পাননি বলে জানান তিনি। এছাড়া ৭নং কুমিরা ইউনিয়নের বিধবা নীহারবালা, প্রতিবন্ধী রঞ্জিত জলদাসের পিতা নরউত্তম জলদাস, ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের রেহানা বেগম পুতুল, ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিধবা সোলেমারসহ শত শত মানুষের বই সমাজ সেবা অফিসে জমা নেওয়ার পর তাদের সবার বই হারিয়ে যায় বলে তারা জানান। এদের সবাই বর্তমানে ভাতা বঞ্চিত। একই ভাবে প্রতিবন্ধী জোবেদা আক্তার সুমির বইটিও হারিয়েছেন বলে তার ভাই নুরুল ইসলাম জানান। এব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে বই হারানোর বিষয়ে জানতে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা বেগমের মুটোফোনে একাদিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসির্ভ করেন নি।