এনজিওর কিস্তির চাপে দরিদ্র মানুষের কান্না
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির চাপে অসহায় দরিদ্র মানুষের কান্না দেখার কেউ নেই। লবিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানাযায়, উপজেলায় গড়ে উঠা প্রাই ৮/১০টি এনজিও আছে, সে সব এনজিওর কর্মিরা কিস্তি আদায়ের অজুহাতে দরিদ্র অসহায় মানুষদের নিরব নির্জাতন করে, মামলা ও নির্জাতনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা, সকল এনজিও কতৃপক্ষ বেশির ভাগ নারীদের লোন দেয়, এদের সকলে এনজিওর নির্ধারিত সমিতি ঘর নামে বিভিন্ন স্থানে ঘর করে সব নারীদের সেই ঘরে সপ্তাহে হাজির হয়ে, কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। এক একটা এনজিওর প্রাই ৫০/৬০ জন নারী সদস্য রয়েছে, যে কোনও কারনে একজন এক সপ্তাহে কিস্তির টাকা গুছাতে না পারলে তার উপর নেমে আসে কোঠিন নির্জাতন ও খারাপ খারাপ গালাগাল, এবং এনজিওর কর্মির বাজে বাজে কথা শুনতে হয়। এরকমই ভুক্তভোগী এক নারী ভাংগাগেটের রাবেয়া বেগম দুঃখ করে বলেন গত মঙ্গলবার আশা সমিতির কিস্তি দেয়ার কথা আমি স্থানীয় এক জুট মিলে কাজ করি কিস্তির টাকা তুলে আমি আমার স্বামীকে দিয়েছিলাম টাকা নিয়ে সে আমাকে ছেড়ে ঢাকা চলে গেছে আমার খোঁজ খবর নেই না। জুট মিলে কাজ করে কোন রকম দুইটি সন্তানকে লালন পালন করি, আর কিস্তির টাকা পরিশোধ করি গেল সপ্তাহে আমার মিলে কাজ না থাকায় আমি কোন বিল পাইনি তাই কিস্তির টাকা গোছাতে পারিনি, আশা সমিতির কর্মী এসে বিভিন্ন গালাগাল ও বাজে বাজে কথা বলেছে। আমার মনে হচ্ছিল আমি আত্মহত্যা করি শুধু দুটো বাচ্চার মুখে তাকিয়ে বেচে আছি। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রাবেয়ার মতো অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়, সব ভুক্তভোগীর অভিযোগ এনজিওর কিস্তি আদায়ের নামে তাদের প্রতি এনজিও কর্মীদের বিভিন্ন অত্যাচার মুল্যেক কথা ও নানা বিধ খারাপ আচারণের সম্মুখিন হতে হয়। এবিষয়ে আশা নওয়াপাড়া শাখার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি যে কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, এরকম ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুনঃ