চট্টগ্রামের পতেঙ্গা-ইপিজেড এলাকায় সরকার ঘোষিত অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও টমটম চালাতে একটি মহল তৎপর
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বিগত ২৪জুন’২১ সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ এবং ব্যাটারি-মোটর খুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে সকল গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের ৩য় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সড়ক- মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব প্যাডেল চালিত রিকশা ও ভ্যানে ব্যাটারি বা মোটরযন্ত্র লাগানো হয়েছে শুধুমাত্র সেসব রিকশা ও ভ্যান থেকে ব্যাটারি বা মোটরযন্ত্র খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ঘোষনাতেই অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, টমটম ও অন্যান্য যান্ত্রিক চালিক অবৈধ মোটর গাড়ী হাইকোটের নির্দেশনা মোতাবেক বন্ধ থাকবে। সেই দিনের সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি সারাদেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পেছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। এজন্য সারাদেশে এই ধরনের রিকশা প্যাডেল চালিত রিকশার বিষয়ে আমরা বলছি না।প্যাডেল চালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের ঘোষনা মোতাবেক ব্যাটারি চালিত টমটম, অটোরিক্সা, ইজীবাইক সহ অন্যান্যগাড়ী বন্ধ থাকবে। সে ব্যপারে ট্রাফিক পুলিশের কঠোরতা এবং স্থানীয় প্রশাসন তৎপর থাকে। ইদানিং পতেঙ্গা কাটগড় এলাকায় বিশেষ করে ১৯ ও ২০ নং রোডে সরকারী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবারো চালক- মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা সেন্ডিকেট করে ব্যাটারি চালিত টমটম, অটোরিক্সা, ইজীবাইক চালাতে তৎপর হয়ে উঠছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯ ও ২০ নং রোডে বিআরটিএর রোড পারমিটকৃত এইচ পাওয়ার, কিছু বৈধ টমটম, অটো রিক্সা চলাচল অব্যাহেত আছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২/৩ দিন ধরে সরকারের ঘোষনা ও হাইকোর্টের বন্ধের নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে। এক সময়ের বাস-মিনি বাসের চালক শ্রমিক, হেলপার কামাল, মনির ও মিজান সহ নাম সর্বস্ব সংগঠনের কথা বলে ঐ রোড গুলোতে অবৈধ ভাবে ব্যাটারি চালিত টমটম, অটোরিক্সা, ইজীবাইক চালাতে চেষ্টা করছেন। এই বিষয়ে পতেঙ্গা-ইপিজেডের পুলিশের টিআই শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, সরকারের ঘোষিত কোন অবৈধ গাড়ী তার থানা এলাকায় চালাতে সে দেবেন না।আর কেউ অবৈধ ভাবে চালানোর জন্য চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিবেন। অভিযোগ আছে, শুরু থেকেই ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজরা ছিলেন সরব। মূল সড়ক থেকে সুরুকরে অলি-গলিতে এসব যান চলার ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোন কঠোরতা না থাকলেও স্থানীয় চাঁদাবাজরা নানা অজুহাতে ধাপে ধাপে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা না পেলে ভিত্তিহীন নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কান ভারি করেন তারা। নগর বাস—মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা। মূল সড়কে বাস শ্রমিকদের স্বার্থ দেখা তার কাজ হলেও পরিবহন শ্রমিক নেতা পরিচয়ে চাওয়া হয় চাঁদা। এতে ব্যর্থ হয়ে এসব যানবাহন নিয়ে প্রশাসনের কাছে অহেতুক অভিযোগ করে এই নেতা। সম্প্রতি সময়ে পতেঙ্গা কাটগড় মোড়ে চাঁদা আদায় কালে ২জন সদস্য র্যাব-৭ তাদের হাতেনাতে আটক করে ছিলেন। একজন নুরুল ইসলাম, অপরজন তার সহকারী। এবিষয়ে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি বন্দর) শাকিলা সোলতানা প্রতিবেদক বলেন, এসব গাড়ি মূল সড়কে চলে আসতে আমি দেখেছি। টমটমের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নির্দেশনা রয়েছে, তাই অভিযান চলবে। তবে যেগুলোর বিআরটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা, সিরিয়াল নম্বর আছে সেগুলো সীমিত পরিসরে চলতে বাধাঁ নেই। এতে কেউ অনৈতিক চাদাঁদাবী বা জোরপূর্বক উৎকোচ নেন তাতে পুলিশ প্রশাসন প্রমান পেলে কোন ছাড় দিবেন না।

 

নিউজটি শেয়ার করুনঃ