মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ
মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১ নং লাউকাঠী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে জমি জমার বিরোধের জের ধরে বসত ঘরে হামলা ভাংচুর চালিয়ে সজিব নামের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে ঘরে থেকে জোর পুর্বক ধরে নিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে শারিরীক নির্যাতন করে গলায় বটি ধরে মেরে ফেলার হুমকি সহ এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ রাসেল হাওলাদার (২২), পিতাঃ জাকির হাওলাদার এর বিরুদ্ধে।অভিযোগকারী হলেন, ফিরোজা বেগম (৩৩), স্বামীঃ নাসির হাওলাদার। গত রবিবার (১৭-অক্টোবর-২১) আনুমানিক বিকেল ৫.০০ টার সময় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ ও অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, একই বাড়ির বাসিন্দা প্রতিপক্ষ জাকির হাওলাদার ও নাসির হাওলাদার এর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গত বরিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ জাকির হাওলাদার (৪৬), রাসেল হাওলাদার (২২), রোজিনা (২৫), শাহিদা বেগম (৪০) একত্রিত হয়ে বসতঘর ভাংচুর করে। এছাড়াও অভিযোগকারী ফিরোজা বেগম প্রতিবেদককে আরও বলেন, তার বড় ছেলে রাজিব (২০), কে প্রতিপক্ষ রাসেল হাওলাদার পথরোধ করে মারধর করে। এসময় ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে এবং কাপড় চোপড় টেনে হিঁচড়ে লজ্জাশ্লীতাহানি ঘটায়। ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে রক্ষা করে এবং বাজারে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এসময় মারধরকারী রাসেল ও প্রতিপক্ষ সকলে মিলে তার ছোট ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র সজিবকে একা পেয়ে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তাদের ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে শারিরীক নির্যাতন চালায় এবং গলায় বটি ধরে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়।তার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে গ্রাম পুলিশকে খবর জানালে গ্রাম পুলিশ আব্দুল জব্বার এসে সজিব কে হাত পা বাঁধা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বেঁধে রাখার দড়ি জব্দ করেন। এছাড়াও রাসেল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে মাদক ও বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে তার পিতা মাদক সেবন করে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে। এঘটনায় সজিবের মা ফিরোজা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ আব্দুল জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এসময় উপস্থিত সুলতান চৌকিদার, পুতুল বেগম সহ আরও অনেকে এই নির্যাতনের চিত্র নিজ চোখে দেখতে পেয়েছেন বলে প্রতিবেদককে বলেন। এনিয়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল ও জাকির হাওলাদার বলেন, সজিব বটি নিয়ে আমাদের ঘরে আসলে আমরা তাকে বেঁধে রেখেছি তবে মারধর করিনি।এছাড়াও রোজিনা বেগম ভাংচুর ও বেঁধে রাখার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এব্যাপারে লাউকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (খোকন) বলেন, এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। গত কালের ঘটনা ও আমি শুনেছি উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান।