ভুল চিকিৎসায় আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু
ভুল চিকিৎসায় আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ওরফে শেয়ার আলী হাওলাদার (৬৮) কে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বাউফল উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাসিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৮-অক্টোবর-২০২১) তারিখ বিকেলে মৃত নজরুল ইসলামের পরিবার ডাক্তার তাসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্টের আবেদন করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার (১লা অক্টোবর-২০২১) সন্ধ্যার দিকে নজরুল ইসলাম শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাউফল হাসপাতালের ডাক্তার তাসিফুল ইসলামকে তার পার্সোনাল চেম্বার বাউফল গোলাবাড়িতে নিয়ে দেখানো হয়। রোগীকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন ডাক্তার। এবং বলে দেন ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলেই রোগী ভালো হয়ে যাবে। সেখান থেকে গোলাবাড়িতেই এক আত্মীয়র বাসায় নিয়ে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ এনে রাতের খাবার খেয়ে ওই ঔষধ সেবন করে। কিছুক্ষন পরে রোগী হঠাৎ ভীষন অসুস্থ হয়ে পড়ে। ততক্ষনাত ডাক্তার তাসিফুল ইসলামকে জানালে তিনি বাউফল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাসিফুল ইসলাম এসে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এমনি সময় রোগীর ভীষন হঠাৎ শ্বাস কষ্ট হতে থাকে এবং অক্সিজেন লাগিয়ে দেন রোগীর মুখে। কিছুক্ষন পরে রোগীর পরিবারের লোকজনের কাছে বলা হয় রোগীকে দ্রুত বরিশাল নিয়ে যেতে হবে। ডাক্তার নিজেই এমবুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি বলে রোগীর কাছ থেকে চলে যায় পরবর্তীতে ডাক্তার তাসিফুল আর ফিরে আসেননি। এদিকে রোগীর অবস্থা গুরুত্বর দেখে পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি করতে থাকেন। হঠাৎ করে রোগীর অক্সিজেন বন্ধ হয়ে গেলে ডাক্তারকে জানানো হয়। এসময় এক নার্স এসে রোগীর নাভির গোড়ায় একটা ইনজেকশন করে চলে যাওয়ার পরপরই রোগী মারা যান। পরে ওই ডাক্তার তাসিফুল ইসলাম এসে মৃত্যুর প্রমানপত্র দিয়ে কিছু না বলে চলে যান। এবিষয়ে মৃত নজরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে দুখু মিয়া জানান, আমার বাবাকে ডাক্তার তাসিফুল ইসলাম ভুল চিকিৎসা দিয়ে এবং তার গাফিলতির কারনে মারা গিয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি। অভিযুক্ত ডাক্তার তাসিফুল ইসলামের বক্তব্য নেয়ার জন্য প্রতিবেদক সরনাপন্ন হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বরং এড়িয়ে চলে যান। বাউফল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিএস ডাক্তার প্রশান্ত কুমার বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।