স্বতন্ত্র প্রার্থীতে দিশেহারা নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় আগামী ১১নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।নিজেদের প্রচারণায় ব্যানার, পেষ্টুন, পোষ্টার লাগানোর পাশাপাশি সমাবেশ করছেন প্রতিটি গ্রামে। প্রার্থীরা নিজ প্রচারণায় মিছিল, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে অনেকটাই দিশেহারা অবস্থায় রয়েছেন আঃলীগের মনোনীত চার চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করতে নিজ নিজ ইউনিয়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আঃলীগের অনেক কর্মি সমর্থকরাও আঁড়ালে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। যার ফলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আঃলীগের প্রার্থীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের চারটিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা।এসব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি আঃলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে অনেকটাই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকৃমিরা। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে উপজেলার ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে আঃলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী শম্ভু শর্মা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও সেখানে নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেহান উদ্দীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আঃলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর।

এছাড়া ৫নং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে নৌকা মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজীর সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাপা প্রার্থী এজেএম বেলাল হোসেন ও আঃলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া। ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীরের সাথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী তা করছেন ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রাজু। ১০নং সলিমপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন আজীজের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আঃলীগ নেতা গোলাম গফুর। এদিকে উপজেলা আঃলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া জানান, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এবিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচন করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কৃত হবেন। তাকে কোন চিঠিপত্র দেবারও দরকার পড়বে না।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ