বিয়ের নামে প্রতারণা অবশেষে মামলা
মহানগর সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রামে নগরীতে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)-এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮ বছরের ভূক্তভোগী ১ তরুণী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য তাওহিদুল ইসলাম বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি পাঁচলাইশ জোনে কর্মরত আছেন বলে বায়েজিদ বোস্তামী থানা সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত এসআই কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ভুয়া হলফনামা বানিয়ে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী (১৮) নাসিরাবাদ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই তরুণীর বাসায় গৃহশিক্ষক ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তরুণীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নিয়ে গিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৫২৬২/১৮ ও ৫২৬৩/১৮ নম্বর হলফনামা সম্পাদন করেন তাওহিদুল। বিয়ের যৌথ হলফনামা সম্পাদনের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বিশ্বাস তৈরি করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগকারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তাওহিদুল। একপর্যায়ে তাওহিদুল পুলিশের এসআই পদে চাকরি পান। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে বহিরাগত ক্যাডেট এসআই এর প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে চলাফেরা করেন। সারদায় প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর এক বছর তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রশিক্ষণ শেষে এসআই হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিয়ের হলফনামা সম্পাদন থেকে শুরু করে সব সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন তিনি। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে দন্ডবিধির ৪৯৩ ও ৪২০ ধারায় এসআই তাওহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ