করোনায় আর্থিক অস্বচ্ছল পরিবারের হাল ধরার চেষ্টায় শিশুকূল
হোসেন বাবলা,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বৈশ্বিক মহামারির ”করোনাভাইরাস” বিশ্বময় কতো যে ছন্দ-পতন ঘটিয়েছে তার ইয়াত্তা সঠিক কারো কাছে জানা না থাকলেও প্রাথমিক ভাবে কিছু চিত্র দেখলেই অনুমান করে বলা যায় বাংলাদেশও কতো পিছিয়ে পড়েছে। বানিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামের অত্যন্ত ঘনবসতি এলাকা আগ্রাবাদ-জাম্বুরী মাঠ তথা সিডিএ, হালিশহর এলাকায় প্রতিদিন স্বল্প আয়ের মানুষের নানান সমস্যা মা ও শিশু হাসপাতালে গেলেই পথে, ফুটপাতে অথবা মূল সড়কের পাশে দেখা মিলে নতুন নতুন পেশার মানুষকে। তেমনি কিছু শিশুর বৈচিত্র ব্যবসার পশরা দেখে কথা বলার চেষ্টা করি।

১৩নভেম্বর শনিবার, দুপুরে নিজের বাম পা চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাসপাতালের ২য় গেট সংলগ্ন পথের ধারেই তিন শিশু-তারেক (০৮) সাজু-১০ এবং সুজন-১১এর সাথে। অনেক চেষ্টার পর কথা বলতেই শিশু সুজন জানালেন, তারা হাসপাতালের পাশে গলিস্থ রহিম কলোনীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তারা কেউ নোয়াখালী, কেউ বরিশাল অঞ্চলের বাসিন্দা। ”করোনাভাইরাস” জনিত কারণে পরিবারের বাবা-মার আয় কমেছে, তাই তো পথের ধারে বসে মাস্ক বিক্রি করে কিছুটা বাঁচার আকুতি বা সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। তারা মাস্ক গুলো ৫-১০টাকা ২০-৪০টাকায় বিক্রি করে দৈনিক ১৫০-২০০টাকা আয় করে সংসারের ব্যয়ে সহায়তা করছেন। স্কুলে যাই কিনা জিজ্ঞেস করলে, তারা তিনজনেই বলেন-এখন স্কুল মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় এই পেশা নিয়ে কিছুটা অভাব মেঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। আবার তারা ঐ এলাকায় একটি বে=সরকারী এনজিওর অধীনে সপ্তাহে ২/৩দিন পথস্কুলেও পড়ালেখা শিখেন বলে জানাই। একটি তথ্য প্রতিবেদনে প্রকাশ হয় যে, করোনায় দেশে ৩কোটি লোক দরিদ্র সীমার নিচে, এর মধ্যে শিশু ৪০লাখ, বৃদ্ধ ৫০লাখ এবং প্রান্তিক জনগোষ্টির প্রায় ১কোটি সহ নিম্ম-মধ্যবৃত্ত মিলে এই দরিদ্রতা অবস্থানে বলে প্রতিবেদনের উল্লেখ আছে। আর ইউনুসেফ, জাতিসংঘের তথ্য অনুয়ায়ী দেশে ১কোটির অধিক শিশু করোনায় শিক্ষা বঞ্চিত, অভুক্ত আর রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবণে আছেন বলে শিশু ফোরাম সূত্রে জানান।
এই অবস্থায় শিশুদের কর্মময় শিক্ষা-প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিবার নির্ভর রাখতে না পারলে দেশে চরম ভাবে শিশু শ্রম, কিশোর অপরাধ, বাল্য বিবাহ এবং শিশু পাচার বেড়ে যেতে পারে বলে অভিঞ্জ মহল ধারণা করে বলছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ