পটুয়াখালীতে চেক জালিয়াতি মামলায় খলিশাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফারুক মাষ্টার জেল হাজতে
পটুয়াখালীতে চেক জালিয়াতি মামলায় খলিশাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফারুক মাষ্টার জেল হাজতে
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
আবশেষে চেক জালিয়াতি মামলায় সেই প্রতারক ফারুক মাষ্টারকে বিজ্ঞ আদালত তার সাজা বহাল রেখে ১৫/১১/২০২১ তারিখ জেল হাজতে প্রেরণ করেণ। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ২নং বদরপুর ইউনিয়নের খলীশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: ফারুক হোসাইনের বিরুদ্ধে গত ২৮শে এপ্রিল পটুয়াখালীর বিজ্ঞ যুগনো জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত কতৃক সেসন মামলা নং ১৫১/১৬ এর বিচারে ফারুক মাস্টারকে অনধিক এক বছরের সাজা এবং আট লাখ টাকা বাদীকে পরিশোধ করার জন্য এক আদেশ দেন। উক্ত আদেশ মোতাবেক তার স্ব কর্মস্থলে থাকার কথা নয়, কিন্ত সে ঐ তথ্য গোপন রেখে গত ২০১৯ সাল থেকে অবৈধ ভাবে নিজের বেতন বোনাস সহ যাবতীয় সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসছে। এমনকি উক্ত মামলার বিষয়টি গোপণ করে নিজের ইচ্ছে মতো স্কুলে আসা যাওয়া করছে, উল্লেখ্য সেই একই মামলায় সে আপিল করলে তার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর রায় প্রকাশ হয়, রায়তে দেখা যায় তার সেই পুরনো আদেশ বহাল রয়েছে। এমতবস্থায় তার সকল তথ্য গোপণ রেখে ছুটি ছারাই নিজ কর্মস্থলে অনুপোস্থিত থেকে মামলার ততবির করছেন বলে সরেজমিনে তার স্কুলে গিয়ে জানা জায়।
এদিকে তার এ সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয় জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে প্রতিবেদককে অবহিত করেন এবং এখন তার বিষয়ে জানার পরে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিবেন বলেও তিনি জানায়, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরষদের সভাপতি মো: নাসির উদ্দিণ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ট্রেনিং এ থাকার কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছূক ঐ অফিসের অনেকেই বলেছেন যে, ফারুক মাস্টার আগে জাতীয় পার্টি করতো এখন শ্রমিক লীগ করে এ কারণে সে অনেকের ধরা ছোয়ার বাহীরে থাকে। এমনকি নিয়মিত ক্লাস না করেই সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। এদিকে ঐ বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বলছেন দীর্ঘদিন তার অনুপস্থিতির কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চড়ম ব্যাঘাত ঘটছে, তারা আরো বলছেন অনতিবিলম্ভে তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করে সরকারী অর্থ ফেরত পাওয়ার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া অতিব জরুরী। এবং সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্শণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান।