অক্টোপাস ভালবাসা
প্রদীপ দত্ত
জীবনকে চেনার শুরুতেই
অচেনা জীবন যাপনের শুরু হয় আকস্মাৎ
না চাওয়ার সুর নিয়ে
বয়ে চলে বহমান জীবন তরী,প্রেম, চাওয়া,পাওয়া
রোগ,শোক,পদ,পদবি… প্রতিদিনের নাস্তার টেবিলের
মেনু থেকে প্রাইভেট টিউটর ঘেরা যাপিত জীবনের
হিসাব নিকাশ ভরা ভাব-ভালবাসা।

পেন্সিলের শেষ মাথার রাবার ঘষে ঘষে
সংশোধিত জীবন কাধে বাঁক নিয়ে ছুটে
চলা….. অবিসংবাদিত ভাবে ভোর আসে
আড়মোড়া ভাঙে রাত নতুন সকাল উঁকি ঝুঁকি
মারে জানালার ফাকদিয়ে।

অথচ তখনও হা করে ঘুমিয়ে থাকে
ঝলমলে সকাল,তপ্ত দূপুর
এতো ঘুম ঘুমানোর উৎসবে ভুলে
থাকা নিঃশঙ্কচ অনাকাঙ্ক্ষিত কামনা
ঘুমিয়ে থাকা লালসার তীক্ষ্ণ জিহ্বা লকলক করে
কুমারীর অনাবৃত শরীরে।

ভাগযোগ হয় সব অনাবাদি ভূমি
রক্তের হোলিতে ধর্মের গলিতে
ভাগযোগে বসে নিষিদ্ধ সন্যাসী
লাল কাফন পরে।

পৃথিবীর তীর ঘেঁষে বয়ে চলে রক্তের স্রোত
বলি হয় নিরিহ পশুর দল
চলে ভোজ উৎসব।

বাইবেল লিখে শেষ করেন
প্রভূ শয়তান রাতারাতি দুর্বোধ্য
ভাষার শিলালিপিতে, প্রেম ভালবাসার
সব দাবী অক্টোপাসের মত চেপে
ধরে প্রেমিক হৃদয়…. ছটফটানো
প্রেম বিদ্ধ হয় হৃদয়ের ক্যানভাসে
রাতজাগা হৃদয়ে।

নিষিদ্ধ প্রেমের গলি দিয়ে তবু চলেফিরে
বেড়ায় নিষিদ্ধ কামনা বাসনা।
অতৃপ্ত হৃদয় বাসনা নিয়ে রাতভর পথ চেয়ে
থাকে প্রশান্তির।

উত্তাল সাগর বারবার আছড়ে পড়ে
হৃদয়ের দ্বারে তবু সেখানে নেই
ছিটেফোঁটা প্রেম শুধু বালি ধুয়ে সৈকতে
আছড়ে পড়ে নিস্ফল আক্রোশে।

বিলানো জীবনের দাম খুঁজে কেউ কেউ
পার করে ইতিহাস ঘেটে
প্রেম এক নিষিদ্ধ উপন্যাস
রক্তের বিনিময়ে কেনা দেশের
মানচিত্র বদলে যায় যুগে যুগে
যুগ ধর্মে গেয়ো চাষার পুতও
হয়ে ওঠে দারুন গেরোস্ত
ধোপ দূরস্থ কেতাবী মানুষ
হয়ে ওঠে জলজ্যান্ত অক্টোপাস।
৯-১-২২
পতেঙ্গা

নিউজটি শেয়ার করুনঃ