আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করায় অতর্কিতভাবে হামলায় লায়লা বেগমের মৃত্যু
আরজুন নাহারঃ
চট্টগ্রাম কোর্ট মামলা নং-৫০৪ / ২০১১, ধারা-৩০২ / ৩৪ পেনাল কোডে উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করায়। ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা মহাব্বত আলী মুন্সির বাড়ির কবির আহাম্মেদ (৬৫)’র পরিবারের উপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১/১/২০২২ সকাল ৮টায় হামলা করে একই বাড়ির মোঃ আরমান (৩৫), ইরান (৩৩), ইমতিয়াজ (৩২), সর্বপিতা-মৃত আবুল বশর, সর্বসাং-২ নং মাইলের মাথা , মহাব্বত আলী মুন্সির বাড়ি, পোঃ সেইলর্স কলোনী, থানা- ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কবির আহাম্মেদ’র স্ত্রী লায়লা বেগম ও ছেলে ওমর ফারুককে এলোপাতাড়ি মারধর করে মারাত্মক জখম করে। তাদের শোর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে। তারা উক্ত ঘটনার জন্য কোন ধরণের মামলা মোকদ্দমা করলে পুনরায় মারধরসহ খুন জখমের হুমকি- ধমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করেন। লায়লা বেগম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬/১/২০২২ বিকাল ৪টায় মারা যান। এবং ওমর ফারুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

ইপিজেড থানার এস আই সুজন দৈনিক নব দেশ বার্তাকে বলেন, মোঃ আরমান ও ইমতিয়াজদের সাথে কবির আহাম্মেদের জায়গা জমি নিয়ে একটি মামলা নং-৫০৪/২০১১, ধারা-৩০২ / ৩৪ পেনাল কোডে চলছিল। উক্ত মামলার সাক্ষ্য নিয়ে লায়লা বেগম ও ছেলে ওমর ফারুককে এলোপাতাড়ি মারধর করে মারাত্মক জখম করে। এবং লায়লা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬জানুয়ারি ৪টায় মারা যায়। ছেলে ওমর ফারুক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আজ ৯ জানুয়ারি ২০২২ বিকাল ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে খুনী মোঃ আরমান ও ইমতিয়াজকে গ্রেফতার করি। অপর আসামি মোঃ আরমানকে গ্রেফতারের জন্য আমরা কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ