অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সকলকে স্বোচ্ছার হতে হবে
অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সকলকে স্বোচ্ছার হতে হবে
আরজুন নাহারঃ
চসিকের ১১,২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড এর মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটি বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ঠিক অল্প কিছুদিন পর ১৯৮২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কিছু প্রবীণ সাংবাদিকদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা। সংবাদকর্মীদের এই সংগঠনটির আজ গৌরবের ৪০ বছর পূর্ণ হল হতে যাচ্ছে। দিনটিকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে সারাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪০ বছর উদযাপন করেছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের ৪০ বৎসর পূর্তি অনুষ্ঠান সত্যই প্রশংনীয়। বর্তমান সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে স্যাটেলাইট চ্যানেল, জাতীয় পত্রিকা, আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল সহ অনেকগুলো সংবাদ সংস্থা সরকারের উন্নয়নের স্বাক্ষী হিসেবে কাজ করছে। যেখানে অনিয়ম হচ্ছে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে এবং সরকারের উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। আবার কিছু কিছু নামধারী সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই এ অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সকলকে স্বোচ্ছার ও সচেতন হতে হবে। অদ্য ১২ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের ৪০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি রাবেয়া খাতুন শিমুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ কায়সার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন-সাংবাদিকরা দেশের নীরব পাহারাদার। তারা দেশ, সরকার, জনপ্রতিনিধি তথা নীতি নির্ধারকদের সহযোগী। একজন সংবাদকর্মী সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের সহজ পথটি দেখিয়ে দিতে সাহায্য করে। সাংবাদিক রাজনীতিবিদদের বিপরীত কর্মকান্ডের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করে তাঁকে সাহায্য করেন। সাংবাদিক কারো বন্ধু নয়।
আবার কারো শত্রুতা করাও সংবাদকর্মীর কাজ নয়। সাংবাদিক তাঁর দু’চোখ ও তথ্য উপাত্তের মাধ্যমেই তাঁর কলম চর্চা করে। একজন কলম সৈনিক তাঁর কলমের সাথে কখনো আপোষ করে না। গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। এক কথায় বলা যায় দেশ ও সমাজের জন্য একটি সংবাদ পত্র ও একজন গণমাধ্যমকর্মীর গুরুত্ব অপরিসীম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মোঃ আবু ইউসুফ সন্দ্বীপি, মোঃ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, মোঃ মামুন আল রশিদ, আবদুল হান্নান হীরা, এমদাদুল করিম সৈকত, মোবারক হোসেন ভূইয়া, সোহাগ আরেফিন, সাইদুল করিম সাজু, মোহাম্মদ নাছির, আব্দুস সামাদ রিফাত, সাজ্জাদ মাহমুদ, মো. শিপন হোসেন, তাজুল ইসলাম কামরুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।