তোমার সেদিন সোনালী সে দিন
প্রদীপ দও
তুমি কখনও কাছ থেকে কাশ বন দেখেছ,
কখনও ছুয়েছ হিজল দীঘির জল;
রাখালের বাঁশিতে সুর বাজে বিরহের,
কখনও দিগন্ত ছুয়ে এসেছ!
দুর্বার আগুনে হাত রেখে শফত করেছ কখনও?
ছুয়ে দেখেছ ফড়িং এর ডানা,নীল লেজ
কখনও ঢলের পানিতে সাতার কেটেছ!
পুড়ে মরা মানুষের মুখ দেখেছ কখনও।
কালো রাতে পথ ভুলে গিয়েছ কখনও
পোড়ো বাড়ীর কুঠুরি তে,কখনও
সাপ,বাঙ,পেচাদের মেলা ভাঙার;
শব্দে ডেকে ওঠে টিকটিকি,তারপর
সব শুনশান,শুধু ঝিঁঝির ডাকের রাত
তারার মিইয়ে পড়ে ভোরের আলোয়,
শিউলি তুলে আনে বোস্টমি,লাল
থান পরে,শুরু হয় যজ্ঞীয় উপাচার।
বেসামাল আত্ব অচেনা পথে নীড়ে ফেরে
শব্দ ঝংকারে বাজে পৃথিবীর সব সুর;
সৃস্টিশ্বর তানপুরা বাধে নতুন তারে,
শুরু হয় নতুন সুরের প্রানে নতুন ভোর।
মাটির মানব কখনও ধাতব,চেনা দায়
সুরের সন্মোহনে পাখা মেলে অনন্তে;
পুদিনাপাতা গন্ধে মাতাল করা দুপুর,
লাল চোখের শাসনীয় সুএ প্রেম মনে হয়।
তুমি কি বিসৃত,সোনালী অতীত
অর্হনিশীর সে সবকিছুই অর্থহীন,
নস্ট বলয়ের কস্টের ইতিকথা
সবই আজ শুধু সোনালী অতীত!
সব ভুলে বসে আছ সব সব,
আধাঁর কাটার পর,নদীর পাড়;
ছুটে চলা এম্বুলেন্স এর কর্কশ শব্দ
ভেঙে খান খান হয়ে পড়ে নতুন সৃস্টিতে।
তারপর,খুব ভোরে নদীর জলে
টেংরা মাছের সাতার কাটার সময়ে,
তখন প্লাবন ছিল জোয়ারের ;
প্লাবিত হই নব ধারা জলে।
ধানমন্ডি, ঢাকা
২৫-০৫-২০১৫

নিউজটি শেয়ার করুনঃ