সারাদেশে সয়াবিন তেলের দাম ডাবল সেঞ্চুরীর পথে
সারাদেশে সয়াবিন তেলের দাম ডাবল সেঞ্চুরীর পথে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি গুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন। চিঠিতে ভোজ্যতেলের নতুন দাম ১মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সে হিসাবে ১লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৮০টাকা থেকে ১৯০টাকা ধার্য্য চূড়ান্ত প্রস্তাব। সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোর এক বৈঠকে এখনই দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আগে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) নতুন দাম আমদানি মূল্যের অনুপাতে যৌক্তিক কি-না, তা বিশ্লেষণ করবে। তারপর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি টিকে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স ও অপারেশন) মোঃ শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, ‘আমরা কাল বা পরশুর মধ্যে দাম নিয়ে আলোচনার জন্য বসতে পারি। বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছেই। এ অবস্থায় দেশে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ না করা হলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা থাকে। নতুন প্রস্তাবে শুধু বোতলজাত সয়াবিন নয়, খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এখন খোলা সয়াবিনের নির্ধারিত দর লিটারপ্রতি ১৪৩টাকা, যা কোম্পানি গুলো বর্তমানে ১৫৭টাকা করতে চায়। পাম সুপার তেল ১৪৩টাকা থেকে বাড়িয়ে করতে চায় ১৫০টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের নির্ধারিত দর এখন ৭৯৫টাকা, যা ৮৭০টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আমদানিমূল্য বিবেচনায় ৩ফেব্রুয়ারি ১লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৮৬টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ৬ টাকা ছাড় দিয়ে তারা ১৮০টাকা নির্ধারণ করে বাজারে ছাড়তে চায়। এর আগে, সর্বশেষ ৬ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮টাকা বেড়েছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, ২০১৯সালের ৭জানুয়ারি ৫লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৪৬৫থেকে ৫১০টাকা। বিশ্ববাজারে দাম যত বাড়ছে, সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী অনেকটাই নিশ্চিত বলা চলে সয়াবিন তেলের দাম ২০০শত টাকা ছুই-ছুই করছেই।