চট্টগ্রামে ফ্যামিলি কার্ডে ৫ লাখ পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য
চট্টগ্রামে ফ্যামিলি কার্ডে ৫ লাখ পরিবার পাবে টিসিবির পণ্য
হোসেন বাবলা, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
পবিত্র রমজান উপলক্ষে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে, ১৫টি উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে ও ১৫টি পৌরসভায় একযোগে ফ্যামিলি কার্ডে কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে চট্টগ্রামের ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার। আজ রবিবার (২০মার্চ) শুরু হয়েছে এসব পণ্য বিতরণ কার্যক্রম। এরমধ্যে নগরীতে ৩লাখ ৯৬৩ পরিবার, উপজেলাগুলোতে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৯ এবং পৌরসভাগুলোতে ৪৭হাজার ৬৭০পরিবার এ সুবিধা পাবে। শনিবার (১৯মার্চ) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, জেলায় মোট ৮৪জন ডিলারের মাধ্যমে ৫লাখ ৩৫হাজার ৮২ জন উপকারভোগীর কাছে রোজার আগে প্রথম পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করা হবে। এতে প্রতিজনকে ২কেজি চিনি, ২কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫টাকা এবং সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার ১১০টাকা হারে দর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল নিতে মোট ৪৬০ টাকা লাগবে কার্ডধারীদের। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার সকাল ১০টায় বিক্রি শুরু হবে। পরবর্তী ১০দিনের মধ্যে প্রথম ধাপের বিক্রি সম্পন্ন করা হবে। জেলা প্রশাসক জানান, টিসিবির এ কার্যক্রম পরিচালনায় জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ট্যাগ টিম জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে উপকারভোগী নির্বাচন করেছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও স্টাফ অফিসার টু ডিসি পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তালিকা করেছেন। যারা সরকারি কোনো ভাতা, ভিজিডি-ভিজিএফ বা বয়স্ক ভাতা পান না তাদেরই তালিকায় রাখা হয়েছে। নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে সাড়ে চার হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। একেকদিন একেক স্পটে পণ্য বিতরণ হবে যাতে কাউকে দূরে যেতে না হয়।’ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিংয়ের জন্য টিসিবির আঞ্চলিক খাদ্য গুদামসহ উপজেলা পর্যায়ের ১৫টি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে। “প্যাকেজিং প্রক্রিয়া যথাযথ ও স্বচ্ছ হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জেলা প্রশাসনের ছয়জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং উপজেলার কার্যক্রম মনিটরিং করছেন,” বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।