বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দুর্নীতি ও লাইনম্যান যখন ভূমিদস্যু চক্রের সদস্য
চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাসহ মিটার রিডার সরোয়ার, লাইনম্যান মিজান, রমজার আলী, (এস.বি.এস.) লাইনম্যান
হারুন, ভূমিদস্যু চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহক।চাকরির মুখোশে উক্ত বিদ্যুৎ এর কর্মচারি, লাইনম্যান চক্রটি পেশাগত দায়িত্বের আড়ালে এখন স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের সক্রিয় সদস্য মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ যেন, শর্ষের ভিতরে ভূত! যা বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নিরহ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে এক অভিনব প্রতারণা। এমনিতেই বাকলিয়ার বিদ্যুৎ অফিসের নানাবিধ গ্রাহক হয়রানী, মিটার রিডিং চুরি, ভৌতিক বিল ইস্যু, ব্যাপক দুর্নীতির খবর সবসময় পত্রিকার শিরোনাম হয়। রক্ষক যখন ভক্ষক! গামম্প্রতিকালে, বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও
বিতরণ বিভাগের এক অভিনব ও ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত প্রতারণার অভিযোগে ২০১৩ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী-লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে বারংবার লিখিত অভিযোগ, উকিল নোটিশ, বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, চট্টগ্রামে সাধারণ ডায়েরীও করা হয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকের সাথে প্রতারণার জেরে অত্র অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারী ও লাইনম্যান, মিটার রিডার এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন মর্মে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহক চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক আলমগীর নূর বরাবর। গত ২৩ মার্চ, ২০২২ চট্টগ্রামের আগ্রাবাস্থ বিদ্যুৎ জোনের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে ভিকটিমের লিখিত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিবাগের ভয়াবত ও অভিনব এই দুর্নীতির বিষয়ে। অভিযোগে জানা যায়, নগরীর বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর কর্মকর্তা,
কর্মচারী, মিটার রিডার সরোয়ার, লাইনম্যান মিজান, রমজার আলী, (এস.বি.এস.) লাইনম্যান হারুন এর ভূমিদস্যু সংশ্লিষ্টতা, অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানীর বিষয়ে। নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে বারংবার লিখিত অভিযোগ করেও সুফল মিলছেনা। জনগণ এতোদিন জেনে আসছে, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধ সংযোগ, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো। কিন্তু সাম্প্রতিকালে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দুর্নীতির সাথে যোগ হয়েছে আরো অপরাধের বিশেষণ যোগ হয়েছে। এখন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, লুটপাট, ঘুষ
বাণিজ্যের সাথে সাথে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী, মিটার রিডার ও লাইনম্যান স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনৈতিক যোগসাজসে ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যকে মালিক সাজিয়ে সচল মিটার এর তথ্য গোপন করে একই হোল্ডিং-এ বাড়ায় লাগিয়ত মূল মালিকের একইদোকানে মিটার চুরি করে ও মূল মালিকের অগোচরে অবৈধভাবে আরেকটি বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দিয়ে নিরিহ বিদ্যুৎ গ্রাহকের দোকানপাট, রসত-ভিটা দখলে নেমেছে বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী, মিটার রিডার ও লাইনম্যান নামক ভূমদস্যু চক্রটি। অত্র চিহ্নিত চক্রটি পেশাগত দায়িত্বের আড়ালে থার্ডপার্টি হিসাবে জড়িয়ে পড়ছে বাকলিয়ার নিরিহ জনগণের বসত-ভিটা, দোকানপাট ও ভূমি দখল-বেদখলে মতো ফৌজদারী
অপরাধ জগতে। বিনিময়ে বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের উক্ত চক্রটি ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে পায় মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা। চক্রটির উক্তসব প্রতারণার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নেয়া হলে রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিভাগের অর্জিত সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষিন হবে। গ্রাহক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সৃষ্টি হবে দন্দ। তৈরী হবে আস্তার সংকট। অভিযোগ পত্র থেকে আরো জানা যায়, বিএস খতিয়ান-৭৯৩, বি.এস. দাগ নাম্বার- ১৮৫৪৯ ভূক্ত এবং হোল্ডিং নাম্বার- ৩৪৩৭/এ, ভিকটিম আলমগীর নূর এর পত্রিক মৌরশী সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ৬ দশক ধরে তাহাদরে পারিবারিক বসবাসরত বসত-ভিটার একটি অংশ ভিকটিম বিগত ১/০১/২০১৩ একজন রিক্সা চালক জনৈক সেলিমকে ব্যাটারীচালিত টম টম রিক্সার গ্যারেজের জন্য ভাড়ায় লাগিয়ত করেন। এবং অত্র রিক্সার গ্যারেজ ব্যাবহারের জন্য নং- ১০৩৫৭৭৫১ এর আলমগীর নূর নামীয় একটি বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ সৃজন করেন। যা, পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটারে রূপান্তর হয়। উক্ত
ভাড়াটিয়া সেলিম ১মাসের বাড়া পরিশোধ করে পরবর্তী মাস থেকে আর ভাড়া পরিশোধ করছিল না। দিচ্ছে দিবে মর্মে ভিকটিমকে ঘুরাতে লাগলো। এক পর্যায়ে ভিকটিম আলমগীর নূর জানতে পারে উক্ত বাড়াটিয়া সেলিম একজন পেশাদার মাদক কারবরী এবং স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও পেশাদার ছিনতাইকারী এবং মাদক কারবারী সালাউদ্দিনের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এই মাদককারবারী সালাউদ্দিন ২০০১ সালে সিএমপির তালিকাভূক্ত ছিনতাইকারী মামলায় সাজাভোগকারী একজন আসামী ছিনতাই মামলা নাম্বার-বাকলিয়া ২৭(৯)২০০০। তপশিলোক্ত গ্যারেজ ও বসত-ভিটার মালিক ভিকটিম আলমগীর নূর উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরে ভাড়াটিয়া সেলিমকে গ্যারেজ ছেড়ে দিতে নির্দেশদেন তৎকালীন সময়ে। এই সূত্র ধরে ভাড়াটিয়া সেলিন ও সালাউদ্দিন চক্রটির সাথে গ্যারেজ ও বসত-ভিটার মূল মালিক সাংবাদিক আলমগীর নূর এর সাংঘর্ষি বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা নং-ম ১৪৮৮/১৩ দায়ের করেন গ্যারেজের মালিক ভিকটিম আলমগীর নূর।

এমন পরিস্থিতিতে, ভূমিদস্যুদের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উক্ত গ্যারেজ ও বসত-ভিটা দখল করার কুমানসে উক্ত মাদক কারবারী সেলিম প্রকাষ বোমা সেলিম স্থানীয় চিনতাইকারী, ভূমিদস্যু মাদককারবারী সালাউদ্দিনসহ বাকলিয়া বিদ্যুৎ অফিসের উক্ত চক্রটির পরষ্পর অনৈতিক যোগসাজসে সকল সত্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূল মালিকের অগোচরে তৎকালীন সময়ে সচল সংযুক্ত আলমগীর নূর নামীয় নং-১০৩৫৭৭৫১ এর বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাউন্ডারীর বাহিরে মিটারটি ছুড়ে ফেলে দিয়ে সালাউদ্দিনকে মিথ্যা মালিক সাজিয়ে পূর্ব মিটারের স্থলে অবৈধভাবে আরেকটি বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ সৃজন করে ভিকটিমের উক্ত গ্যারেজ ও বসত-ভিটা জবর দখল করার অপচেষ্টা করতেছে মর্মে ভিকটিমের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়। অধিকন্তু, উক্ত ভূমিদস্যু সালাউদ্দিনসহ পুরো চক্রটি উক্ত গ্যারেজ দখল করার কু-মানসে বিগত ২/৩/২০২০ আলমগীর নূর নামীয় ১০৩৫৭৭৫১ এর বিদ্যুৎ মিটারটি চুরি করে নিয়ে যায়। মিটার চুরি হওয়ার বিষয়ে যথাক্রমে ভূমিদস্যু সোহেল, সালাউদ্দিন, ভাঙ্গারী বাবুল, ভাড়াটিয়া সেলিম, মিটার রিডার সরোয়ার, লাইনম্যান মিজান, রমজার আলী, (এস.বি.এস.) লাইনম্যান হারুনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে বিগত ২/৩/২০২০ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, চট্টগ্রামে সাধারণ ডায়েরীও করেছেন ভিকটিম। বিদ্যুৎ বিতরণ দক্ষিণ জোনের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক আলমগীর নূর অবিলম্বে ভূমিদস্যু, ছিনতাইকারী ও মাদককারবারী সালাউদ্দিনের নামে অবৈধভাবে সৃজনকৃত বিদ্যুৎ মিটিার ও সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করে অবৈধ বিদ্যুৎ মিটার সৃজনের সাথে জড়িত জালজালিয়াতি চক্রের সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক আলমগীর নূর নামীয় ১০৩৫৭৭৫১ এর বিদ্যুৎ মিটার ও সংযোগ প্রতিস্থাপন করার জোর দাবী জানিয়েছেন। অন্যতাই, উক্ত জালজালিয়াতি ও অপরাধি চক্রের সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ফৌজদারী মামলা রুজু করার হুশিরার করছেন অবিযোগকারী ভিকটিম ও জায়গার মালিক। উক্ত বিষয়ে অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগের অনুলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানিত উপদেষ্টা, পাওয়ার ডিভিশন ভবন, চেয়ারম্যান-দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিচালক-দুর্নীতি দমন কমিশন-চট্টগ্রাম, চেয়ারম্যান-বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলাপমেন্ট বোর্ড-মতিঝিল, প্রধান পরিদর্শক ও উপদেষ্টা (বিদ্যুৎ) এর কার্যালয়, তোপখানা রোড, ঢাকায় প্রেরণ করেছে বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ