লক্ষ্মীপুর আদালতে স্ত্রীকে হত্যায় এক স্বামীর ফাঁসি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. লিটনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৬এপ্রিল) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লিটন গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে এটি শ্বাসরোধে হত্যা বলে প্রমাণিত হয়। এতে লিটন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের উত্তর চরকাদিরা গ্রামের চৌধুরী মাঝির ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩এপ্রিল উত্তর চরকাদিরা গ্রামের একটি আম গাছ থেকে রবিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বলে প্রচার করে হয়। এতে আত্মহত্যা বলে তার শ্বশুর চৌধুরী মাঝি কমলনগর থানায় লিখিতভাবে সংবাদটি জানায়। থানার তখনকার ওসি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মোশাররফ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি পাননি। চৌধুরী মাঝির ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন সুরতহাল প্রস্তুতকালে তিনি দেখতে পান রুবিনার মরদেহে ঠোঁটসহ মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানের নিচে ও গাঁঢ়ের পেছনে রশির দাগ ছিল। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। একই বছর ২৯ মে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে আসে। এতে প্রমাণিত হয় মাথায় আঘাতের পর রুবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এতে এসআই মোশারফ বাদী হয়ে লিটনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি এসআই অনিমেষ মন্ডলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ