সীতাকুণ্ডে কলেজের শ্রেণীকক্ষে অধ্যক্ষের ছাগল পালন
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
দিনভর চষে বেড়ায় কলেজ মাঠে। আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই ছাগলের পালসহ এনে রাখা হয় শ্রেণিকক্ষে। শুধু ছাগল নয় আছে হাঁসমুরগিও। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষকে এভাবেই রীতিমতো খামার বানিয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কুমিরাস্থ আবাসিক বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন। আর তার এই অঘোষিত খামারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত আছেন স্কুলের দপ্তরি ও দারোয়ান।

স্থানীয়রা জানান, কুমিরা বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ২০টিরও অধিক ছাগল পালন করেন। এগুলোকে রাতে প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে বেঁধে রাখা হলেও দিনে ছেঁড়ে দেওয়া হয় মাঠে। আর দিনভর ছাগলগুলো চষে বেড়ায় স্কুল-কলেজের মাঠে। যখন-তখন ঢুকে পড়ছে শ্রেণিকক্ষে। ছাগলের বিষ্টা ও বর্জ্যে বিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত থাকে সবসময়। ছাগলগুলোকে যে কক্ষে রাখা হয় তার আশেপাশে সারাক্ষণ দুর্গন্ধ ছড়ায়। প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান ও দপ্তরিকে দিয়ে এগুলা পরিষ্কার করান তিনি। এ নিয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকরা চরম বিরক্ত হলেও অধ্যক্ষের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সখ্যতা থাকার কারণে এ নিয়ে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না। ছাগল পালনের কথা স্বীকার করে অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ছাগলগুলোকে রাখা হয়।এগুলো কারো ক্ষতি করছেনা। এছাড়া এ নিয়ে কখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। ছেলের শখ পূরণ করতে ছাগলগুলো পালন করছি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম সরকার জানান, বিদ্যালয়ে ছাগল পালন কোনভাবে বাঞ্চনীয় না। নিজের ছেলের শখ পূরণে তিনি বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন না। তার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। সেখানে উল্টো তিনি নিজে পরিবেশ নষ্ট করছেন এটা দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের কক্ষে ছাগল পালন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে এমন কোন কিছুই করা যাবেনা। বিষয়টা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ