ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে
ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে
হোসেন মিন্টুঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, যৌতুক দেওয়া নেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যৌতুক ও মাদককে ঘৃণা করতে হবে। বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়ে বর্তমান সরকার বাল্য বিয়ের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই দেশ যৌতুক ও মাদক থেকে অভিশাপমুক্ত হবে। যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য। তিনি পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে সূচিত যৌতুক ও মাদকবিরোধী আন্দোলনের জন্য আল্লামা নূরীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এর সাথে আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর (মু.জি.আ) সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় পীরে তরিক্বত আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ) বলেন, দেশ ও সমাজে যৌতুকের মতো একটি জঘন্য ব্যাধি ভয়ংকর রূপ নেবে, আর আমরা আলেম সমাজ তা চেয়ে চেয়ে দেখবো তা কখনো হতে পারে না। যৌতুক-মাদকসহ সকল প্রকার সামাজিক ব্যাধি থেকে নিষ্কৃতির জন্য আলেম, ইমাম ও পীর মাশায়েখকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। না হয় আল্লাহর আদালতে আমরা কী জবাব দেবো? তিনি যৌতুক, মাদক, নারী ও শিশু নিপীড়ন থামাতে বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন রজভীয়া নূরীয়া কমিটি সংযুক্ত আরব অমিরাত শাখার আহবায়ক আলহাজ্ব ওসমান তালুকদার, হাটহাজারী সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সংগঠনের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম চৌধুরী আজম, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব ইউনুস শিকদার, সাংবাদিক আজিমুল গণি, আব্দুল মান্নান, জাহেদুল হক শিবলু, ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন, ফজলুল হাদী মারজান সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।