শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বিগত করোনায় বাংলাদেশে লাশের স্তুপ হয় নাই—নওফেল
হোসেন মিন্টুঃ
বিগত দুই বছর করোনায় বাংলাদেশে লাশের স্তুপ হয় নাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ, ভারত, পাকিস্তান এমনকি ইরানেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোটি কোটি লোক মৃত্যুবরণ করে লাশের স্তুপে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার বাদে জোহর প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী, কোতোয়ালী বাকলিয়া আসনে মাননীয় সাংসদ ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মৃতি সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে আজ শনিবার বাদে জোহর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুব সংগঠক এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ও ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আকবর আলী আকাশ ও নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু’র যৌথ সঞ্চালনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কোতোয়ালী, বাকলিয়া আসনের মাননীয় সাংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব মিত্র, ২০নং দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা হাজী সেলিম, চকবাজার থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়ন সাইফুল ইসলাম ভূইয়া রাসেল, মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিব উল্লাহ চৌধুরী নাহিদ, আসহাব রসূল চৌধুরী জাহেদ, বেসরকারী কারাপরিদর্শক সাবেক ছাত্রনেতা ফারুখুল ইসলাম অঙ্কুর, যুবনেতা আসিফুর রহমান মুন্না, শওকত উল্লাহ সোহেল, শ্রমিক লীগ নেতা মীর ইমরুল হাসান চৌধুরী, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী, সংরক্ষিত (১৭, ১৮ ও ১৯) মহিলা কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজী, শুলক বহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফোরকান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেসরকারী কারা পরিদর্শক নুরুল আলম মিয়া, নগর ছাত্রলীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল কবির সোহেল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মেজাহ উদ্দিন আহমদ মোরশেদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য এম মাহমুদ রনি, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ শিবলী, কফিল উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নিবার্হী সদস্য আলী রেজা পিন্টু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন, যুব নেতা সাজ্জাদ হোসাইন, সাঈদ রহিম, সোহেল ইমরান, নওশাদ আলম, শরীফ হোসেন, শিবলী সাদেক, এস ইউ জোবায়ের, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফখরুক আহমেদ পাভেল, একরামুল হক রাসেল, মাইনুল হাসান চৌধুরী শিমুল, নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছামদানী জনি, নগর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবুল মনসুর টিটু, উপ-পরিবেশষ বিষয়ক সম্পাদক বাবু তুষার ধর, সহ-সম্পাদক সাব্বির সাকির, নির্বাহী সদস্য কামরুল হুদা পাভেল প্রমুখ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে ইতিহাসের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী একজন পরহেজগার নারী। ভোর রাতে তাহাজুত ও ফযরের নামাজ শেষে দৈনন্দিন কাজ আরম্ভ করেন। তিনি আমাদের দেশে নারীদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভবতীকালীন ভাতা ও ছুটির ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও দেশের প্রত্যেকটা নারী পুরুষ সমানভাবে যাতে কাজ করে এবং সমানভাবে যাতে মর্যাদা পায় সে ব্যবস্থা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ পবিত্র রমজান মানে সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় জন্য টিসিবির কার্ড বিতরণ করেছেন জনগণের মাঝে এবং ন্যার্য্য মূল্যে জনগণ টিসিবি থেকে পন্য ক্রয় করে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারছেন। জলবদ্ধতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন আমাদের সচেতনতায় পারে জলবদ্ধতা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে। জলাবদ্ধতা প্রকল্প চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতর্ৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে, এর সুফল পেতে নগরবাসীকে একটু ধৈর্য্য ও অপেক্ষা করতে হবে। আশাকরি অচিরেই জলবদ্ধতার সমস্যা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চেয়ে বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আজ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণে প্রধান উদ্যোক্তা এম আর আজিম পবিত্র রমজানের শুরু থেকে পথচারী অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন। আমি ওনার মঙ্গল কামনা করি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন-আমাদেরকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ময়লা আবর্জনা কোন অবস্থায় খাল, ড্রেন বা নালায় নিক্ষেপ করা যাবে না। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর সব খাল, ড্রেন বা নালা পরিস্কার রাখার দায়িত্ব পালন করছে সবসময়। এটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান প্রক্রিয়া। তিনি নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন আমার কাছে যে কেউ বা নগর বাসী যে কোন সমস্যা নিয়ে যে কোন সময় সাক্ষাৎ বা দেখা করতে পারে। এজন্য দলের বড় বড় নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ