সীতাকুণ্ডে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ৪
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে চট্টগ্রাম শহর থেকে বেড়াতে আসা এবং বাড়ীতে উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় মাস্তানদের হামলার শিকার হয়েছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ৪জন। চাঁদা না দেওয়ায় হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবী মোঃ আজম খান এর। এ হামলায় মোঃ আজম খান এর বড় ছেলে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব মাহমুদ ফাহিমের হাতের আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই ঘটনায় তার ছোট ছেলে তৌকি তাজওয়ারের হাতের কব্জি ভেঁঙ্গে গেছে। জখম হয়েছে আজম খান ও তার বড় ভাই মোঃ নুরুল আমিন। গত বৃহস্পতিবার (১৪এপ্রিল) দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে হত্যার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটে এবং এটি পরিকল্পিত বলে দাবী করেছেন মোঃ আজম খান।

আহত আজম খান ও তার ২ ছেলে চট্টগ্রাম শহর থেকে গুলিয়াখালী গ্রামে পৌঁছা মাত্রই অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম কাজল ও খাইরুল ইসলাম বাদশা লোহার রড ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।ভিকটিম আজম খান জানান, চলতি শুষ্ক মৌসুমে আমরা গ্রামের বাড়ীতে মাটি ভরাট করেছিলাম। কাজল-বাদশা তারা তখন কাজ চেয়েছিল আমার নিকট। তারা যেহেতু কাজের লোক নয় আমরা কাজ দেইনি। এরপর যখন বাড়ীর সীমানা প্রাচীর করেছিলাম তখনও কাজের ইজারা নিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের নেই মিস্ত্রী, নেই কোন কাজ করার সরঞ্জাম।তাই আমরা তাদের কাজ দিই নাই। তিনি আরও জানান, কাজ না দেওয়ায় তারা আমার ভাই মোঃ নুরুল আমিনকে মারধর করেছে। মেরে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছে, চাঁদা না দিলে আমাদের জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা চট্টগ্রাম শহর থেকে বাড়ী পৌঁছা মাত্রই আমাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করেছে। আমার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।আমার বড় ছেলের হাত থেকে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ছোট ছেলের হাতের কব্জি ভেঁঙ্গে গেছে। জানা যায়, আজম খান তার বড় ভাই নুরুল আমিন ও আজম খানের ২ ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কর্তৃব্যরত ডাক্তার। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ২৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। গত শুক্রবার (১৫এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে আহত মোঃ আজম খানের ছোট ভাই মুহাম্মদ ইউসুফ বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউসুফ। সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
আবুল কালাম আজাদ এবং ওসি(তদন্ত) সুমন বণিক জানান, যতদ্রুত সম্ভব আসামীদের আটক করবার আশ্বাস প্রদান করেন। জানা গেছে, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অবৈধ মাটি কাটার ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামল রয়েছে। তারা কয়েক দফা কারাভোগ করে জামিনে এসে আবারও চাঁদাবাজিসহ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বিরোধী বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ