পটিয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাতে নিহত এক আহত তিন
হোসেন মিন্টুঃ
চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) নামের একজনকে খুন করা হয়েছেন। নিহত সোহেল উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই। তার বাবার নাম মরহুম হাজী এজহার মিয়া। ২২ এপ্রিল তারাবির নামাজের পরে রাত প্রায় সাড়ে ১০ টায় তার বাড়ির পাশে বুধপুরা বাজারে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার সময় একই এলাকার সাজ্জাদ(৩০) পিতা নুর মোহাম্মদ ড্রাইভার, মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) পিতা মৃত জহুর আহমদ, জয়নাল আবেদ্বীন(৩৪) পিতা মৃত মনির আহমদ নামে তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সোহেল দেশের পোশাক শিল্পের অন্যতম কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের বোনের ছেলে ছোট ভাগিনা বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটানার দিন দুপুরে প্রতিপক্ষের সাথে সোহেলের বন্ধুদের সাথে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে তারাবির নামাজের পরেই এলাকার বেশ কয়েকজন মিলে এ হামলা ও ছুরিকাঘাত করে এতে সোহেলসহ আরো তিন জন ছুরিকাঘাতে আহত হয়। এসময় আহতদের চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সোহেল মারা যান।

পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত ) সাদেকুর রহমান। তিনি জানান, আহত তিনজনকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ অবস্থান করছে। স্থানীয় সূত্রে গেছে, সোহেল তারাবির নামাজ শেষে রাস্তায় বের হলে কয়েকজন যুবক অতর্কিতভাবে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম। তিনি আরো জানান, আমার ছোট ভাইকে বিএনপি নেতা কায়েসের সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে সে আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে পবিত্র রমজান মাসে আমার ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই, আমি কাশিয়াইশ ইউনিয়নের জনগণের কাছে এ বিচার দিলাম। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের রেশ ধরে কাসেম ৫ ম পৃষ্ঠার ১ ম কলাম কাশিয়াইশে ইউপি চেয়ারম্যানের ১ ম পৃষ্ঠার পর চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ কায়েসের অনুসারী শরীফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সোহেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আজ বেলা ১২ঃ০০ টার সময় মুনসুর ও জনি নামের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযান চলমান রয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুনঃ