রাজস্ব ফাঁকি দিতে খেজুরের আড়ালে আমদানি করা হয়েছে সিগারেট
হোসেন মিন্টুঃ
পণ্যচালানটি তল্লাশির সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা দেখতে পান, কন্টেইনারে থাকা ২ হাজার ৭৭২ টি কার্টনের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৩ টি কার্টনের উপরিভাগে আছে খেজুর। আর তার নীচে লুকিয়ে রাখা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট। অন্য ৭৮৯ কার্টনে শুধু খেজুর। রাজস্ব ফাঁকি দিতে খেজুরের আড়ালে আমদানি করা হয়েছে সিগারেট। বন্দরে তল্লাশি চালিয়ে পণ্যচালানটি জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। প্রায় ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতেই এ কারসাজি বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা দৈনিক নব দেশ বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সূচনা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান পণ্যের চালানটি আমদানি করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ ডিসেম্বর কন্টেইনারটিতে ‘খেজুর আছে’ ঘোষণা দিয়ে তা আসে। পণ্যচালান খালাসের সমস্ত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়।কাস্টমসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) রপ্তানিকারক, পণ্য রপ্তানির দেশ ও আমদানিকারকের তথ্য বিশ্লেষন করতে গিয়ে কিছু অসামঞ্জস্য খুঁজে পায়। তখন এআইআর শাখার মাধ্যমে পণ্যচালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। চার মাস পার হলেও আমদানিকারক নিয়মানুযায়ী বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেননি। তখন রোববার পণ্যচালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় কাস্টমস। তল্লাশির সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা দেখতে পান, কন্টেইনারে থাকা ২ হাজার ৭৭২ টি কার্টনের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৩ টি কার্টনের উপরিভাগে আছে খেজুর। আর তার নীচে লুকিয়ে রাখা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট। অন্য ৭৮৯ কার্টনে শুধু খেজুর।

ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিঞা বলেন, ‘এসব কার্টনে মোট ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা মন্ড সিগারেট আছে। ১১ হাজার ৮৫৬ কেজি খেজুর আছে বিভিন্ন কার্টনে। লুকিয়ে আনা সিগারেটের আমদানি মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রায় ৭ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে। সিগারেট উচ্চ শুল্কের পণ্য হওয়ায় মিথ্যা ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকি দিতে চেয়েছেন আমদানিকারক।’ মালামাল জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ