ফেসবুকে মন্তব্য সাবধান
ফেসবুকে মন্তব্য সাবধান
আরজুন নাহারঃ
ফেসবুকে কমেন্টস, লাইক কিংবা শেয়ার থেকে সাবধান থাকা উচিত। বহু নিরীহ মানুষ যারা ভাল ফেসবুক বোঝেন না, একাউন্ট অন্য কেউ খুলে দিয়েছেন তাদের অনেকে সামান্য লাইক কমেন্ট করে জেল খেটেছেন এবং এখনও আদালতে হাজিরা দিয়ে সময় পার করছেন। তাই ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট থেকে সাবধান। আবার প্রমাণিত হল আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। আইন অমান্য করলে তিনি যেই হন না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আবার প্রমাণিত হল আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। আইন অমান্য করলে সে যেই হন না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। মনে আছে, আলোচিত ম্যাজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলমের কথা?ফেসবুকে মন্তব্য করে শাস্তি পেয়েছেন র্যাবের সাবেক সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারোয়ার আলম। বর্তমানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারোয়ার আলমকে লঘুদণ্ড হিসেবে তিরস্কার করা হয়েছে।
পদোন্নতি না পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করার দায়ে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে এ দণ্ড দিয়ে ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কয়েক দিন আগে এক প্রজ্ঞাপনে তার এ দণ্ডের কথা জানায়। সারোয়ার আলমকে দণ্ড দেয়ার আদেশে বলা হয়, সারওয়ার আলম গত বছরের ৮ মার্চ তার ফেসবুক আইডিতে ‘চাকরিজীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগ চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়’ বলে মন্তব্য করেন। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার মাধ্যমে তিনি অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ করেছেন। এতে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়, এরপর এ বিষয়ে তদন্ত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আদেশে বলা হয়, পর্যালোচনায় দেখা যায়, সারোয়ার আলম তার ফেসবুকে আইডিতে সেই মন্তব্যটি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন এবং অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে ‘তিরস্কার’সূচক লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।