চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন আন্দোলনে পর রক্ষা পেতে যাচ্ছে সিআরবি
হোসেন মিন্টুঃ
চট্টগ্রামের ফুসফুস’ খ্যাত সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প থেকে সরে আসতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে রক্ষা পেতে যাচ্ছে সিআরবি। নগরীর শিরীষতলার এই জায়গাটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসার ফল পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী। এর আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর আওতায় এখানে বড়সড় একটি হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করে। এরপরই চট্টগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠক, সচেতন নাগরিক, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে নামেন। তাদের তীব্র আন্দোলনের মুখেই সিআরবির বিকল্প হাসপাতাল হতে যাচ্ছে কুমিরায় রেলের জায়গায়। জানা গেছে, রেলপথ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম সভায় সিআরবির বিকল্প হিসেবে কুমিরার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসী কখনও চায় না সিআরবিতে হাসপাতাল হোক। কিন্তু চট্টগ্রামের জন্য আধুনিক হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে। তাই হাসপাতালের জন্য বিকল্প স্থান প্রয়োজন। আমরা বিকল্প স্থান হিসেবে কুমিরার নাম প্রস্তাব করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোথায় হাসপাতাল নির্মিত হবে-সেই সিদ্ধান্ত দেবেন। যেহেতু সিআরবিতে হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, তাই আমরা এর বিকল্প স্থান নির্ধারণ করেছি।’ সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল-সিআরবিতে হাসপাতাল না হোক। এই দাবির সুফলও পেতে যাচ্ছি আমরা। দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফল হতে যাচ্ছে। সিআরবি রক্ষা আন্দোলনে শুরু থেকেই যারা ছিলেন-সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রস্তাবনা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুই দফা লিখিত আবেদন করে জানিয়েছি চট্টগ্রামের নির্মল পরিবেশের স্বার্থে সবুজে ঘেরা সিআরবিকে রক্ষার জন্য। অবশেষে তা রক্ষা পাচ্ছে বলে সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে এবং চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’ উল্লেখ্য, সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিআরবিতে যে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে তা চট্টগ্রামবাসী প্রতিরোধ করতে ইতোমধ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। যা বিগত ১১ মাস ধরে চলমান আছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ