জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম মহানগর সংবাদদাতাঃ
গতকাল ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন কর্তৃক “ভারতী পানি আগ্রাসন রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা দোস্ত বিল্ডিং মওলানা ভাসানী অডিটোরিয়ামে বিকাল ৫ টায়, সংগঠনের সভাপতি ছিদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রারম্ভে ফারাক্কা লংমার্চের রাজনৈতিক ও সমাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফ্ফার খান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এডভোকেট মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ন ব্যক্ত করে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাসানী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি উদয় কুসুম বড়ুয়া, সপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শিব প্রসাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতা মোহাম্মদ মামুন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা হাসান মারুফ রুমী, গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা নজরুল ইসলাম সাদা, পরিবহন শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, শ্রমিক নেতা আহমদ নূর, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মাস্টার এ.কে.এম মোফাজ্জল হায়দার, সাখাওয়াত হোসেন সানু, মোহাম্মদ হারুন, মির্জা আবুল বশর, মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র ভারত বিভিন্ন ধরনের বাঁধ নির্মাণ করে ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রবাহ বোঅইনীভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করে ক্ষান্ত হয় নাই। ছয় লক্ষ কোটি রুপী খরচ করে আন্ত:নদী সংযোগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিনত করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ব্যাপারে সরকারের নীরবতা রহস্যজনক। একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে ফারাক্কা বাঁধের দ্বারা এই পর্যন্ত বাংলাদেশের যা ক্ষতি হয়েছে, ভারতের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জোর দাবী জানান। প্রধান অতিথি এডভোকেট কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনোত্তর যে সরকারগুলো ক্ষমতার মসনদ অলংকৃত করেছে। সব সরকারই জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বিদেশী স্বার্থের পাহাড়াদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। মওলানা ভাসানীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। সভাপতি ছিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একমাত্র মওলানা ভাসানীর আদর্শিক অনুসারীরাই পারে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তাই বলে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ