মান্দায় ‘ধনী বিবির দিঘী’ থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় ১লক্ষ টাকা জরিমানা
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধনী বিবির দিঘীর সংস্কারের নামে অবৈধ ভাবে খননযন্ত্র দিয়ে গভীর করে মাটি ও বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করার দায়ে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মান্দা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সি। ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ধনী বিবির দিঘী থেকে নতুন করে মাটি বা বালি উত্তেলন করা হবেনা মর্মে কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শফিউর রহমান বাবু মুচলেকা দিয়ে এসেছিলেন। এরপর প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে গত সোমবার থেকে আবারও অবৈধ ভাবে খননযন্ত্র (স্কেভেটর বা ভেঁকু মেশিন) দিয়ে গভীর করে মাটি ও বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একাজে জড়িত স্থানীয় শচিন কুমারের ছেলে নিরাঞ্জন কুমার ওরফে নিরজনের ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে নিরাঞ্জন কুমার ওরফে নিরজন বলেন, ‘এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা সব কিছু প্রধান শিক্ষক জানে।’ মুচলেকা দেয়ার পরে আবার কেনো একাজ করছেন? এমন প্রশ্নে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শফিউর রহমান বাবু নিজের ভুলস্বীকার করে বলেন, ‘দিঘীর মাঝখানে কিছু মাটি ছিল সেটা আমি ইউএনও স্যারকে বলে কাটার অনুমতি নিয়ে এসেছিলাম।’ জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ভুল বোঝাবুঝি।’ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির মুন্সি জানান, খননযন্ত্র (স্কেভেটর বা ভেঁকু মেশিন) দিয়ে গভীর করে মাটি ও বালু উত্তোলন কাজে জড়িত থাকায় এবং দোষ স্বীকার করায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ১লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে সতর্কও করা হয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতে তারা একাজ যেনো আর না করেন। উল্লেখ্য, এবিষয়ে গত ১৬ ও ১৭ মে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টালে ‘ধনী বিবির দিঘী’ সংস্কারের নামে অবৈধভারে বালি বিক্রি, হুমকিতে রাস্তা ও বসতবাড়ি শীর্ষক একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ