সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ আহত ও নিহতদের জন্যে র‍্যাব’র বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ আহত ও নিহতদের জন্য র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের মানব সেবা ও মানুষের কল্যাণে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন এবং মানব সেবায় সবার আগে মানুষের পাশে দাড়ানোসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।গত শনিবার(৪জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভিতরে আগুন থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেঃকর্নেল এম এ ইউসুফ(পিএসসি) অবগত হওয়া মাত্র তার সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও উপস্থিতিতে ৭টি পেট্রোল, ৫টি সিভিল টিম এবং ১টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সময় থেকে অদ্যাবধি নিয়োজিত রয়েছে।মোতায়েনকৃত র‌্যাব সদস্যগণ ঘটনাস্থল হতে হতাহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌছে দেয়া, জন বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং সেখানকার উৎসুক জনতাকে এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিস্ফোরণকৃত জায়গায় পৌছানোর সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়া র‌্যাব সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসের কাজকে বেগবান করতে সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।

উক্ত ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরী চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম সহ ঘটনা স্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। উক্ত মেডিকেল টিম দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং এ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া সহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ঘটনার পরপরই হতাহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ও আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের সু-চিকিৎসা এবং সুস্থতার জন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন হবে বলে জানায়।ডাক্তারের দেয়া তথ্য মতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ৫০ জন র‌্যাব সদস্যকে আহত ও আগুনে দগ্ধ রোগীদের রক্ত দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং রক্তদান কর্মসূচী এখনো চলমান আছে। এছাড়াও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের অধিনায়কের উপস্থিতি ও নেতৃত্বে র‌্যাবের ৭টি পেট্রোল টিম বিস্ফোরণ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং র‌্যাবের ৫টি সিভিল টিম সীতাকুণ্ডের ঘটনাস্থল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আহতদের সহায়তা, ক্রাউড কনট্রোল, রক্তদান কর্মসূচিসহ ফায়ার সার্ভিসের টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।উপরোক্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা চার শতাধিক, মারা গেছে ৪০ জন যার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এর সদস্য মারা গেছে ৯ জন এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ২১ জন ভর্তি, পুলিশ সদস্য আহত হয় ১১ জন এবং হাসপাতালে মোট ১০৬ জন ভর্তি। উক্ত হৃদয় বিদারক ঘটনায় র‌্যাবের মানবিক সহায়তায় জনমনে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে এবং সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ