সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো পরির্দশন করেছেন পুলিশের মহাপরির্দশক
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিল এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপো পরির্দশন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার(৭জুন) দুপুরে উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিল এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরির্দশক এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা আহত হয়েছেন এবং ফায়ারম্যান ও পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে তদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এখনো এখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। স্থানটি এখনো নিরাপদ নয়। আশা করছি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো। সরকারীভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে দূর্ঘটনার ৩ দিন পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ব্রিফিং সেন্টার খুলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)।

চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার সেন্টারের সামনে মঙ্গলবার সকালে তারা এ বুথ চালু করেন। এর আগে কন্টেইনার ডিপোর আগুন ৬১ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলছে, এই বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরণের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। মঙ্গলবার (৭জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছেন। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুন আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। গত শনিবার(৪জুন) রাত সাড়ে ৯টার সময় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারগুলোর একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪১। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ