চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে মামুন হত্যার মূল হোতা হাসান গ্রেফতার
ইপিজেড থানা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে শ্যালক মামুন(৩৭)। গত শনিবার (১১জুন) দিবাগত রাত পৌণে ৯টার দিকে ছুরিকাঘাতের পর রাত পৌণে ১০টার দিকে হাসপাতালে মারা যায় মামুন। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বোনের জামাই মোহাম্মদ হাসান এর ছুরিকাঘাতে শ্যালক মোঃ মামুন খুন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাত নয়টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আলিশা সংযোগ সড়কের মাথায় মামুনকে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হাসান। গুরুতর আহত মামুনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত দশটায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হাসান ও মামুনের বাড়ী একই এলাকায়, হাসান মামুনের জেটাতো বোনের স্বামী।

কিছুদিন আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে হাসান তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এনিয়ে মূলত দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক দন্ধ তৈরী হয়। ঘটনার পরপর অভিযুক্ত হাসান পালিয়ে যায়। মামুনের হত্যাকারি হাসানকে গ্রেফতার করেন ইপিজেড থানা পুলিশ (১২জুন) রবিবার রাতে ৯টার সময় মামুনের হত্যা কারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামুনের হত্যাকারি হাসানের এক নিকট আত্মীয় ইপিজেড থানায় মুঠোফোনে কলদিয়ে জানান, হাসান বর্তমানে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কবিরুল ইসলাম ফোন পেয়ে দ্রুত থানা থেকে পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়ে দিলে হাসানকে পুলিশের হাতে তোলে দেয়। মামুনের হত্যার পিছনে আরো ৩/৪ জন অজ্ঞত ব্যাক্তী রয়েছে বলে জানা গেছে। মামুন হত্যার ব্যাপারে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কবিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক নব দেশ বার্তাকে বলেন, মার্ডার করে সে পলাতক ছিল। আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করেছি এবং হাসান নিজেও স্বীকার উক্তি দিয়েছে যে, ধারালো ছুরি দিয়ে মামুনকে হত্যা করেছে। তাকে আগামীকাল আদালতে হস্তান্তর করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ