সঙ্গীতের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বকীয়তা কোন বিশেষ ভাষার কাছে সীমাবদ্ধ নয়
হোসেন মিন্টুঃ
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুল্লাহ মারুফ বলেছেন, সঙ্গীতের ব্যাপকতা অসীম। সঙ্গীতের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বকীয়তা কোন বিশেষ ভাষার কাছে সীমাবদ্ধ নয়। এ বারের বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের প্রতিপাদ্য যথার্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন বিশ্বজনের বিচিত্র গান, এক সপ্তকে বেঁধেছে প্রাণ, এটি সময়ের সাথে অত্যন্ত উপযোগী। তিনি বলেন, সঙ্গীতের আবেদন বিশ্বব্যাপী, সর্বপ্লাবী। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে একদল শিল্পীর একাত্মতায় সারা বিশ্বে এক সঙ্গীতময় সমাজ গঠনের লক্ষে “ফিয়েট দ্য লা মিউজিক” বা বিশ্ব সঙ্গীত দিবস সূচিত হয়। ১৯৮৫ সালে সারা ইউরোপ এবং পরে ১২০টি দেশের ৭০০ এর বেশি শহরে ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস প্রতিপালিত হচ্ছে।

তিনি গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের আলোচনায় উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। পরিষদ সভাপতি সঙ্গীতজ্ঞ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিল্পী দীপেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, একাডেমির কালচারাল অফিসার মোছলেম উদ্দিন সিকদার লিটন। সভাপতির ভাষণে প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, শিল্পীদের জন্য আজকের দিনটি বড়ই কাক্সিক্ষত। বিশ্ব সঙ্গীত দিবস সকল শ্রেণি পেশার শিল্পীদের মধ্যে সৌহার্দ্যরে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার প্রণোদনা দেয়। শিল্পীদের মধ্যে ঐক্যচেতনা গড়ে তুলতে সাহস এবং শক্তি জোগায় বিশ্ব সঙ্গীত।
অনুষ্ঠানে সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আর্য সঙ্গীত সমিতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী-সংস্থা চট্টগ্রাম, সঙ্গীত ভবন, ভায়োলিনিস্ট চট্টগ্রাম, অভ্যুদয়, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরামের শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বেহালা শিল্পীদের প্রাচ্য ও প্রতিচ্য ধারার সুর নিবেদন দর্শকদের প্রবলভাবে মুগ্ধ করে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ