সীতাকুণ্ডের আলীনগরে সন্ত্রাসী ইয়াসিনের রাজ্যে যৌথবাহিনীর অভিযান
আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ১০নং সলিমপুর ইউনিয়ন অপরাধীদের অবয়ারণ্যখ্যাত আলীনগর। যেখানে ঠাঁই মেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দাগি অপরাধীদের। পাহাড়ী দুর্ভেদ্য রাজ্যে স্থানীয়রা ছাড়া বাহিরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে নিতে হয় অনুমতি। এটা দীর্ঘ বহু বছরের নিজের গড়া আইন। আর এই আইনটি তৈরী করেছে এ রাজ্যের স্বঘোষিত রাজা মোঃ ইয়াসিন। প্রথমবারের মতো এই রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলার যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (২২জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আলীনগরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর, র‍্যাবের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এতে বিভিন্ন বাহিনীর শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে দেখা যায়, আলীনগরের সরকারী শত শত একর পাহাড় কাটার দৃশ্য। এসময় দূর্গম পাহাড় থেকে মাটি কাটার তিনটি স্কেভেটর, সাতটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখে ভূমি দস্যুরা পালিয়ে গেলেও পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত তিনটি স্কেভেটর ও সাতটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর মৌজার বিভিন্ন অংশের সরকারী হাজার হাজার একর পাহাড় দখল শেষে সেসব কেটে প্রতিদিনই নতুন নতুন প্লট তৈরি করে যাচ্ছে প্রভাবশালী ইয়াসিন বাহিনীসহ ভূমিদস্যুরা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম, জেলা পরিষদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাবের সহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ। এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের দূর্গম এলাকা আলীনগরে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখানে পাহাড় খেকোরা সরকারী শত শত একর পাহাড় কেটে অবৈধভাবে আবাসন গড়ে তুলেছে। রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী কেউ নয়, এই বার্তাটি আমরা সকল দুষ্কৃতকারীকে দিতে চাই।আমাদের সীতাকুণ্ডের মাটিতে কেউ অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলবে তা আমরা হতে দিব না।সরকার জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে উন্নয়নের একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। খুব শীঘ্রই উচ্ছেদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু হবে (পাশাপাশি প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হবে)। অভিযানে আমরা তিনটি স্কেভেটর, সাতটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ