প্রবাসীর স্ত্রীকে সন্তানসহ ফুসলিয়ে বিয়ে অবশেষে থাকেন ঘর জামাই
প্রবাসীর স্ত্রীকে সন্তানসহ ফুসলিয়ে বিয়ে অবশেষে থাকেন ঘর জামাই
আরজুন নাহারঃ
ভাগ্য বদলের আশায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার আমিনুল ইসলাম। এক মাত্র ছেলে সন্তান ও স্ত্রীর অধিক সুখের কথা চিন্তা করে ২০১২ সনে চলে যান মালয়েশিয়াতে। সাত বছর প্রবাসে সময় কাটিয়ে ২০-০৬-২০১৮তে দেশে আসে আমিনুল ইসলাম। এসে দেখে স্ত্রী পরকিয়ার টানে ঘর ছেরেছেন এক সন্তানের জননী তহমিনা রহমান হ্যাপি।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি পরিচালক মাহবুবুল কবির নান্নু। রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমিনুল ইসলামের স্ত্রীকে ছেলে সন্তান সহ ফুসলিয়ে বিয়ে ও পরকিয়া সহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জরিয়ে পড়েছে। অবশেষে আমিনুলের জমানো অর্থের লোভ সামলাতে না পেরে দশ লক্ষ এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে তহমিনা আক্তার হ্যাপিকে বিধবা দেখিয়ে ২৬-০৬-২০২০ তারিখ অবৈধ ভাবে ভুয়া কাবিন নামা করেছে। মাহবুবুল কবির নান্নু। যা কাজী অফিসের রেজিস্ট্রি সম্পাদনের অভিযোগের সত্যতা অকট্যভাবে প্রমানিত। এ ছাড়াও আমিনুল ইসলাম প্রবাসে থাকাকালীন তহমিনা রহমান হ্যাপির কাছে স্বর্নালংকার ও নগত টাকা ৩৭,০০,০০০ (সাইত্রিশ লক্ষ টাকা) পাঠিয়েছে। সেই টাকা ও সর্নালংকার নান্নু ও আমিনুলের স্ত্রী হ্যাপির যোগসাজসে পরকীয়ার জের ধরে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও আমিনুল ইসলামের বাসার ফার্নিচার সহ দখল করে থাকেন ঘর জামাই।
এছাড়াও মাহবুবুল কবির নান্নুর স্ত্রী জিন্নাত জাহান তুলির কলাবাগান থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় মাহবুবুল কবির নান্নু ৭৩ দিন জেলও খেটেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড মাহবুবুল কবির নান্নুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১১( খ) ৩০ ধারার অভিযোগের কারণে গ্রেফতার হওয়ায় বিআরডিবির কর্মচারী চাকুরী বিধান মালায় ১৯৮৮ এর উপবিধান ৪৫(৫) মাহবুবুল কবির নান্নুকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কিন্তু মাহবুবুল কবির নান্নু তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে বেতন, ভাতা, বোনাস ও নিতেন শুধু তাই নয় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বিআরডিবি থেকে অবৈধ ভাবে ৬% সুদে গৃহ ঋণ নিয়ে ১১% সুদে সঞ্চয়পত্র কিনে সরকারের কাছ থেকে ৫% এক্সট্রা সুদ ও নিচ্ছেন এই প্রতারক সহকারি পরিচালক মাহবুবুল কবির নান্নু।
অভিযোগের বিষয়ে মাহবুবুল কবির নান্নুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন। মাহবুবুল কবির নান্নু ও আমার স্ত্রী তাহমিনা রহমান হ্যাপি আমার পরিশ্রমের অর্জিত সম্পূর্ণ টাকা পয়সা নিয়ে আমাকে এখন পথে নামিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও তাহমিনা রহমান হ্যাপি এখন পর্যন্ত আমার স্ত্রী। আমি স্ত্রী কর্তৃক আমি একটি ভুয়া ডিভোর্স এর চিঠি পাই। নান্নু প্রতারণার মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছে বিধবা মহিলা বানিয়ে আবার ২৮/৬/২০ তারিখে নান্নু হ্যাপি দম্পতির বিয়ের দুই দিন পরে আমাকে একটা ভুয়া তালাকনামা পাঠান। এছাড়াও আমার একমাত্র সন্তান আদিয়াত ইসলাম তাহসিনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নান্নু ও হ্যাপি দম্পতি আমার সন্তানকে খারাপ বানানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নান্নু স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ৫০ লক্ষ টাকা ও আমার বাসার ফার্নিচার ও সম্পদের লোভে ভুয়া জাল জালিয়াতি করে ৫ থেকে ছয়টি দলিল বানিয়ে অন্যায় ভাবে আমার স্ত্রীকে লিভ টুগেদার করতেছে। আমি একজন পরিশ্রমী অসহায় ও হতভাগা রেমিটেন্স যোদ্ধা আমি নিঃস্ব হয়ে অসহনীয় অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।