শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদে আছে—ভূমিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম মহানগর সংবাদদাতাঃ

‘জাতি নেতৃত্বে, একজন নিরাপদ নেতৃত্বের হাতে আছে বাংলাদেশ। তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করত। তবে তাকে শহীদ করে বাংলাদেশের অগ্রগতি রোধ করা যায়নি। কারণ তার দূরদর্শী কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।’

সোমবার (১৫আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং এলাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনো শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশে পাঠাচ্ছেন রেমিট্যান্স। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে দেশে মেগা প্রকল্পের কাজ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। পাল্টে গেছে দেশের চিত্র। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে জয়ী করার আহবানও জানান তিনি।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির আহমদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এন ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সাজ্জাদ আলী খান মিঠু, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চেয়ারম্যান।

এরপর সোমবার দুপুরে বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

এসময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে দেশের অবস্থা ভয়াবহ সৃষ্টি করেছিলো বিএনপি। দেশে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, দেশপ্রেমিকদের ধরে এনে হত্যা করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যা করার জন্য হামলা করেছে বিএনপি জামাত। আল্লাহ্ রহমতে কিছুই করতে পারিনি।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এম মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এস.এম আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী ভিপি, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, ভূমিমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল করিম বাবুল, বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, সুগ্রীব মজুমদার দোলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মনছুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, সদরের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, মহিলা আওয়ামীলীগের সম্পাদিকা পারভীন হাবিব।

এছাড়াও সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টর, ত্রাণ সম্পাদক সগীর আজাদ, বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্, হাফেজ আবুল কাসেম, সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরো, রায়পুরের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, জুঁইদন্ডীর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিছ, শ্রমিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান, যুগ্ম আহবায়ক অনুপম চক্রবর্তী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলী আকবর, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের বিলুপ সংখ্যাক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ